জাপা মেয়র প্রার্থীর আপিল খারিজ, আইনি লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত হয়নি এখনো
৬ জানুয়ারি ২০২০ ১৮:৫২
ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে জাতীয় পার্টির (জাপা) দলীয় প্রার্থী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জি এম কামরুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার পর তার আপিলও খারিজ হয়েছে। তবে বিষয়ে তিনি উচ্চ আদালতে লড়াই করবেন কি না, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি দলের হাই-কমান্ড। তবে আসছে এই সিটি নির্বাচনে জোট নয়, জাপা এককভাবেই নির্বাচনে অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে জি এম কামরুল ইসলামের আপিল খারিজ করে দেয় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়। এর আগে, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আপিল করেছিলেন তিনি।
আপিল খারিজ হয়ে যাওয়ার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জি এম কামরুল সারাবাংলাকে বলেন, মনোনয়ন ফিরে পেতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে আমি এককভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। দলের হাইকমান্ড যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই মেনে নেব।
বৃহস্পতিবার ডিএনসিসিসির মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী কামরুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, তিনি সিটি করপোরেশন এলাকায় ভোটার নন।
এ বিষয়টি নিয়ে আজ সোমবার বৈঠক করেছেন জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিবরা। মনোনয়ন ফিরে পেতে উচ্চ আদালতে যাবেন কি না এবং সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টি এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে কি না, এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকে।
বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে— জানতে চাইলে জাপা মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা সারাবাংলাকে বলেন, ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার নির্বাচন হবে। আর ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার নির্বাচন হলে আমরা আলাদাভাবেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। ফলে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমরা অংশ নেব।
জি এম কামরুলের মনোনয়নের বৈধতা ফিরে পেতে জাপা আদালতের শরণাপন্ন হবে কি না— এ প্রশ্নের জবাবে দলটির মহাসচিব বলেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
জি এম কামরুল ব্যক্তিগতভাবে অবশ্য আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে আগ্রহী। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলাম রাজধানীবাসীর জন্য একটি সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন সিটি করপোরেশন উপহার দেবো। মানুষের জন্য কাজ করব। মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই মন খারাপ। তবে হাল ছাড়ব না। শেষ পর্যন্ত প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা থাকবে।
তিনি বলেন, দলের হাইকমান্ড চাইলে আমি মনোনয়ন ফিরে পেতে আদালত পর্যন্ত যাব।