ঢাকা: রাজধানী ঢাকার সেগুনবাগিটা থেকে অপহরণ হওয়া পর বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়েজকে মুন্সিগঞ্জের একটি আলু ক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। দলটি জানিয়েছে, বর্তমানে তিনি পুরান ঢাকার ন্যাশনাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক শেষে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের একজন কাউন্সিলর প্রার্থী (মোস্তাফিজুর রহমান ফয়েজ) মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে অযোগ্য বিবেচিত হয়েছিলেন। তিনি ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আপিল করেছিলেন। তার আপিলটি গ্রহণ করা হয়েছিল। আজ (সোমবার) তার আপিল শুনানির দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু গতকাল (রোববার) তাকে কে বা কারা অপহরণ করে নিয়ে গেছে। আজ মুন্সিগঞ্জের একটি আলু ক্ষেতে তাকে আহত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
আহত মোস্তাফিজুর রহমান ফয়েজ বর্তমানে রাজধানীর ন্যাশনাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন সোমবার রাতে সেখানে তাকে দেখতে যান।
ইশরাক হোসেনের ব্যক্তিগত সহকারী আরিফুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, অপহরণের শিকার মোস্তাফিজুর রহমান ফয়েজ ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। হাসপাতালে তাকে দেখতে গিয়েছিলেন ইশরাক হোসেন। সেখানে তিনি তার শরীর ও চিকিৎসার সার্বিক খোঁজ-খবর নিয়েছেন।
মোস্তাফিজুর রহমান ফয়েজের বরাত দিয়ে আরিফুল জানান, রোববার সকাল ১০টার দিকে সেগুনবাগিচা থেকে অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজন ব্যক্তি মাইক্রোবাসে করে তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। রাতভর নির্যাতন করে ভোরের দিকে সিরাজদীখানের ওই ক্ষেতে তাকে ফেলে যায় তারা। পরে সকাল ৮টার দিকে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করেন।
এদিকে, নির্বাচন কমিশনে ব্রিফিংয়ে আমীর খসরু মাহমুদ বিএনপি অন্য কাউন্সিলর প্রার্থীদেরও হয়রানির অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, আমাদের একজন কাউন্সিলর প্রার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীর বাড়িতে হামলা করে তাকে মারধর করে আহত করা হয়েছে। এভাবে অনেক স্থানেই আমাদের নেতাকর্মী, এজেন্টদের ওপর হয়রানি-নির্যাতন চলছে।
অবশ্য ইসি’র সঙ্গে বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা অপ্রয়োজনে কোনো নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানান আমীর খসরু। পরে ব্রিফিংয়ে সিইসি নিজেও জানান, কাউকে যেন অযথা হয়রানি করা না হয়, সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি কঠোর নির্দেশ থাকবে তাদের পক্ষ থেকে।