Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

১৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রশস্ত হচ্ছে পুঠিয়া-বাগমারা মহাসড়ক


৭ জানুয়ারি ২০২০ ০৫:৫৮

ঢাকা: প্রশস্ততা ও মান বাড়ছে পুঠিয়া-বাগমারা মহাসড়কের। এজন্য ‘পুটিয়া-বাগমারা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ নামের একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এতে খরচ ধরা হয়েছে ১৩০ কোটি ৮২ লাখ টাকা।

প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হচ্ছে- সড়ক-বাঁধ প্রশস্তকরণ, বিদ্যমান পেভমেন্ট মজবুতিকরণ, সার্ফেসিং, রিজিড পেভমেন্ট, আরসিসি বক্স কালভার্ট, আরসিসি ইউ ড্রেন, সসার ড্রেন এবং রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিজ্ঞাপন

পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, প্রকল্পটি প্রস্তাব পাওয়ার পর গত ১১ জুলাইয়ে  প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় দেয়া সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পুনর্গঠন করা হয়েছে। ফলে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, পুঠিয়া-বাগমারা সড়কটি জাতীয় মহাসড়ক কাশিনাথপুর-দাশুরিয়া-নাটোর-রাজশাহী-সোনা মসজিদ বর্ডার সড়কের ১১৭তম কিলোমিটারে পুঠিয়া বাজার হতে বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভা হয়ে ভবানীগঞ্জ পৌরসভার সাথে মিলিত হয়েছে। জেলা মহাসড়ক অন্তর্ভুক্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য ২৭ কিলোমিটার। এই সড়কের শেষ প্রান্তে বাগমারা উপজেলা হেডকোয়ার্টারের কাছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর কমপ্লেক্স রয়েছে। সড়কটি সরু ও খারাপ থাকার কারণে এই স্মৃতি কমপ্লেক্সে দর্শনার্থীদের যেতে কষ্ট হয়। এছাড়া বাগমারা উপজেলাটি রাজশাহী জেলার মধ্যে মৎস্য উৎপাদনের জন্য প্রসিদ্ধ। এই সড়কের পাশে বেশকিছু বড় বড় পুকুর ও কোল্ড স্টোরেজ রয়েছে। প্রতিদিন সব এলাকা থেকে মাছ বহনকারী ট্রাক এবং উৎপাদিত বিভিন্ন কৃষিজাত পণ্য এ সড়কের মাধ্যমে জাতীয় মহাসড়ক হয়ে যমুনাসেতু হয়ে রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করে। এ জন্য সড়কটির গুরুত্ব অপরিসীম।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা যায়, সড়কটির প্রথম ১৭ কিলোমিটার যথাযথ মানের নয় এবং পরবর্তী ১০ কিলোমিটার বহু আগে নির্মিত, যার পেভমেন্টের প্রশস্ততা ৩ দশমিক ৭০ মিটার। সড়কটির গুরুত্ব বিবেচনায় বিদ্যমান পেভমেন্ট মজবুতিকরণসহ ৫ দশমিক ৫০ মিটার চওড়া করা প্রয়োজন। এ জন্য ২৭ কিলোমিটার মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণের জন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ১১৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের জুনে বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়।

এদিকে পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রস্তাবিত প্রকল্পটির ওপর গত বছরের ১১ জুলাই প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়ে। এই সভার সিদ্ধান্তের আলোকে ডিপিপি পুনর্গঠন করা হয়েছে। পুনর্গঠিত ডিপিপি অনুযায়ী প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ১৩০ কোটি ৮২ লাখ টাকা। পিইসি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪টি আরসিসি বক্স কালভার্টের সাথে অতিরিক্ত আরও ১২টি কালভার্ট অন্তর্ভুক্ত করায় আগের তুলনায় ১১ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া ভারী বর্ষণের ফলে সড়কের বিভিন্ন স্থানে সাব-বেইজ ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রায় ২৫টি স্থানে হেরিংবন বন্ড (এইচবিবি) ও ব্রিক ফেইল্ড সোলিং (বিএফএস) এর কাজ করা হয়েছিল এবং আরও কিছু স্থানে ব্রিকস ব্যাটস ফেলে যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। এই এইচবিবি, বিএফএস ও ব্রিকস ব্যাটস উঠিয়ে ফেলে সাব-বেজ নির্মাণ প্রয়োজন। এ কারণে পুনর্গঠিত ডিপিপিতে সাব-বেজ ধরা হয়েছে এবং বিদ্যমান পেভমেন্ট মজবুতিকরণ অংশে ২ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও রিজিড পেভমেন্ট নির্মাণের ক্ষেত্রে সড়কের দুই পাশে ডাইভারশন বিকল্প সড়কের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই অংশে ৩ কোটি টাকা ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। পিইসি সভায় উপস্থাপিত ডিপিপি থেকে পুনর্গঠিত ডিপিপির ব্যয় সার্বিকভাবে ১৫ কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য শামীমা নার্গীস সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া ও বাগমারা উপজেলার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ প্রকল্প এলাকার জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।’

পরিকল্পনা কমিশন পুঠিয়া-বাগমারা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর