ডিজিটাল ডিভাইস কেড়ে নিচ্ছে শৈশব, বাধা পাচ্ছে শিশুর বিকাশ
৭ জানুয়ারি ২০২০ ০৮:০১
ঢাকা: উত্তরার জাভেদ আহমেদ। বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তার স্ত্রী সীমা ইসলামও চাকরি করেন বেসরকারি একটি ব্যাংকে। তাদের চার বছর বয়সী একমাত্র সন্তান তূর্য (ছদ্মনাম)। তূর্যকে বাসায় দেখাশোনা করতেন তাদেরই একজন নিকটাত্মীয়। কিন্তু তূর্যের সময় কাটতো বাসায় টিভি ও স্মার্টফোনে ইউটিউব দেখে। বাবা-মা অফিস শেষে বাসায় এলেও ছেলে ব্যস্ত হয়ে পড়তো মোবাইল ফোন নিয়ে। মোবাইলে ইউটিউব দেখা বন্ধ করলেই উত্তেজিত হয়ে পড়তো সে। ছেলেকে খাওয়ানো কিংবা তাকে শান্ত রাখার কৌশল হিসেবে বাবা-মা ইউটিউবকেই হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতো। কিন্তু এক সময় তারা খেয়াল করলেন, তূর্য ঠিক মতো কথা বলতে পারছে না।
জাভেদ আহমেদ বলেন, ‘যে বয়সে তূর্যের বাবা-মা বলে ডাকার কথা সেই বয়সে সে ব্যস্ত থাকতো মোবাইলে ইউটিউব দেখা নিয়ে। এক পর্যায়ে দেখি সে ঠিক মতো কথা বলতে পারছে না। এর পর তাকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যাই। চিকিৎসক বলেন, তূর্যের হাইপার অ্যাকটিভ সমস্যা আছে। উনার পরামর্শে মোবাইল, ট্যাব ও টিভি থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি। পাশাপাশি তাকে খেলার মাঠ ও আত্মীয়-স্বজনের বাসায় নিয়ে যাচ্ছি। এখনও সে তার আসক্তি কাটাতে পারেনি। তবে আশা করছি, দ্রুতই তা কাটিয়ে উঠবে তূর্য।’
এরকম ঘটনা যে শুধুমাত্র তূর্যের ক্ষেত্রেই ঘটছে, তা কিন্তু নয়। রাজধানীসহ দেশের অনেক জায়গার শিশুরা বর্তমানে এই সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার এক গবেষণায় উঠে এসেছে, বাংলাদেশের ৬৬ শতাংশ শিশু শরীরচর্চার পেছনে দৈনিক এক ঘণ্টা সময়ও ব্যয় করে না। অর্থাৎ প্রতি তিনজনের মধ্যে দুজন শিশু শরীরচর্চার পেছনে সময় ব্যয় করে না। যদিও ১৪৬টি দেশে চালানো এই জরিপে বাংলাদেশের শিশুদের নিষ্ক্রিয়তার মাত্রাই সবচেয়ে কম।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শারীরিক অনুশীলনের অভাবে শিশুর স্বাস্থ্য তো বটেই, মস্তিষ্কের বিকাশও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে; ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সামাজিক দক্ষতা। এর পেছনে ঘরে-বাইরে শিশুদের খেলাধুলার ব্যবস্থা না থাকা এবং নিরাপত্তার অভাববোধের বিষয়টিও কাজ করছে।
গবেষণায় বলা হয়, ধনী ও অনুন্নত দেশগুলোতে শিশুরা দৈনিক এক ঘণ্টাও শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকছে না। এই পরিস্থিতিকে গবেষকরা দেখছেন ‘বৈশ্বিক সংকট’ হিসেবে। আর এই ঝুঁকির বাইরে নয় বাংলাদেশের শিশুরাও।
সাইক্লিং, সাঁতার, ফুটবল খেলা, লাফানো, দড়ি লাফ, জিমনাস্টিকসের মত শারীরিক কসরৎ- যা হৃদস্পন্দন বাড়ায়, ফুসফুসকে আরও বেশি সক্রিয় করে- এমন যেকোনো দৈহিক কর্মকাণ্ডকে ‘ব্যায়াম’ হিসেবে ধরে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে।
গবেষণায় ১১ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয়তার যে তথ্য উঠে এসেছে, তার কারণ হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তা ড. ফিওনা বুল বলেছেন, “শিশুরা আসলে অলস নয়। শিশুদের শরীরচর্চাকে প্রাধান্য দিতে না পারাটা আমাদেরই অবহেলা আর ব্যর্থতা। আর এই পরিস্থিতি প্রায় সারাবিশ্বেই। প্রতিদিন এক ঘণ্টা শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকার চেষ্টা অসম্ভব কোনো লক্ষ্যই না। সুস্বাস্থ্যের জন্য অন্তত এক ঘণ্টা শরীরচর্চার করা উচিত। আর এটা ‘প্রমাণিত’।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তা রেজিনা গুথল্ড বলেন, ‘যে শিশু নিয়মিত শরীরচর্চা করে সে বেশ বুদ্ধিদীপ্ত হয়। যেকোনো কিছুই তারা খুব সহজে শিখতে পারে। সামাজিক যোগাযোগের দক্ষতাও তাদের বেশি হয়।’
গবেষণা প্রতিবেদনটির সহলেখক লিয়ানে রিলে বলেন, ‘শিশুদের কঠোর পরিশ্রম করতে উৎসাহ দেওয়া হয় ঠিকই, কিন্তু তা কেবল পড়ালেখা আর পরীক্ষার জন্য। বাচ্চারা লম্বা সময় ধরে স্কুলে থাকে, বসে বসে হোমওয়ার্ক করে, খেলাধুলার ফুরসত আর হয় না। এছাড়াও দেখা যায় বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইসের কারণে তারা শারীরিক অনুশীলন বিমুখ হয়ে পড়ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষকরা বলেন, শারীরিক অনুশীলনের অভাবের আরেকটি কারণ হচ্ছে অতিমাত্রায় ডিজিটাল ডিভাইসে আসক্তি। অথচ শৈশব থেকেই যদি কেউ দৈহিকভাবে কর্মক্ষম থাকে তবে বয়স বাড়ার পর তার হৃদরোগ, স্ট্রোক আর টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে যায়। পাশাপাশি শৈশব-কৈশোরে মস্তিষ্কের বিকাশের জন্যও সক্রিয় থাকাটা জরুরি বলে মত দিচ্ছেন গবেষকরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. রাহাত আনোয়ার চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, শিশুর হাতে ডিজিটাল ডিভাইস তুলে দিচ্ছে তাদের বাবা-মা। এতে অধিকাংশ শিশুরই ওই যন্ত্রগুলোর ওপর আসক্তি বাড়ছে। ফলে শিশুদের অধিকাংশই বেড়ে উঠছে মায়োপিয়া বা ক্ষীণদৃষ্টি সম্পন্ন হয়ে। অতিমাত্রায় ডিজিটাল ডিভাইসের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকার কারণে অনেক শিশুই অন্ধও হতে পারে।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক গবেষণায় বলা হয়েছে, বিশ্বে ১১ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের প্রতি পাঁচজনের মধ্যে চারজনেরই নেই পর্যাপ্ত শরীরচর্চার অভ্যাস। আর এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে শিশুর স্বাস্থ্য, বাধাগ্রস্থ হচ্ছে মস্তিষ্কের বিকাশ। সেইসঙ্গে সামাজিক বিকাশও পড়ছে হুমকির মুখে। এ থেকে নিরাপদে নেই বাংলাদেশের শিশুরাও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধুমাত্র পর্যাপ্ত শরীরচর্চার অভাবই নয়, সেইসঙ্গে ডিজিটাল ডিভাইসে আসক্তি কেড়ে নিচ্ছে শিশুর শৈশব। আর এ কারণে শিশুরা নানা ধরনের রোগের শিকার হচ্ছে। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ।
চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. রাহাত আনোয়ার চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘শিশুদের যে বয়সে দূরের দৃষ্টি তৈরি হওয়ার কথা সেই সময় তারা বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইসে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। এ কারণে অল্প বয়সেই তাদের চোখে নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ফলে কম বয়সেই শিশুর চোখে উঠে যাচ্ছে চশমা। অতিমাত্রায় ডিজিটাল ডিভাইসের স্ক্রিননির্ভরতার কারণে বড়দের চেয়ে শিশুদের চোখে প্রায় পাঁচগুণ বেশি ক্ষতি হয়। সেই কারণে মায়োপিয়াসহ নানাধরনের চোখের সমস্যা দেখা দিচ্ছে শিশুদের।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইদানিং দেখা যাচ্ছে, ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী মানুষের চোখে ছানি পড়ছে, যা আগে সাধারণত বয়স ৫০ পার হলে হতো। শুধু তাই নয়, অতিমাত্রায় ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারে একটা সময় শিশুদের মধ্যে হাইপার অ্যাকটিভ প্রবণতাও তৈরি হয়। তারা স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে চায় না, কারও সঙ্গে মিশতে চায় না। এছাড়া এগুলোর তেজস্ক্রিয়তা মস্তিষ্কে টিউমার ও নিদ্রাহীনতার অনুঘটক হিসেবেও কাজ করে।’
মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা ও মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র এ্যাথেনা বাংলাদেশের আসক্তি বিশেষজ্ঞ (অ্যাডিকশনোলজিস্ট) ডা. ইফতেখার আলম সিদ্দিকী শোভন সারাবাংলাকে বলেন, ‘সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি দুজন শিশুর মধ্যে একজন মোবাইল ফোনে আসক্ত। এক্ষেত্রে অনেক বাবা-মা বাচ্চার হাতে মোবাইল বা ট্যাব জাতীয় ডিজিটাল ডিভাইস তুলে দেন। এর কারণ হিসেবে বলেন, এগুলো না দিলে বাচ্চারা খেতে চায় না বা কান্নাকাটি করে। স্কুল যাওয়া শিশুদের ক্ষেত্রেও দেখা যায় বাসায় ফিরেই মোবাইল বা ট্যাব নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এই মাত্রা ক্রমাগত বাড়ছে। এবং যা ভয়ংকর।’
ডা. ইফতেখার আলম সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, বাচ্চাদের এই ডিজিটাল ডিভাইস আসক্তির জন্য বাবা-মায়ের অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারও দায়ী। বাচ্চা যখন ১২ মাসের কম বয়সী হয়ে থাকে তখন তার মাঝে কোনো আসক্তি কাজ করে না। এই সময়ে তারা শুধু দেখে, শুনে এবং শেখে। কিন্তু তার পরবর্তী সময়ে আসলে এটি আসক্তি তৈরি করে।’
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘শিশুরা ডিজিটাল ডিভাইসের দিকে ঝুঁকে পড়ছে অতিমাত্রায়। এতে তারা দুটো ক্ষতির সম্মুখীন হচ্চে। প্রথমত, তাদের সামাজিক দক্ষতা কমে যাচ্ছে। অর্থাৎ সমাজের মানুষের সঙ্গে মেশার ও বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের কৌশলগুলো রপ্ত করতে পারছে না। ফলে তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা কমে যাচ্ছে এবং সামাজিক দক্ষতা হ্রাস পাচ্ছে। দ্বিতীয়ত, খেলাধূলার অভাবে ও শারীরিক অনুশীলন না থাকায় শিশুর শারীরিক গঠন বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। যে কারণে তারা সুঠামদেহী হয়ে গড়ে উঠছে না।’
মূলত দুইটি কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্ঠি হচ্ছে। প্রথমত, খেলার মাঠ কমে যাচ্ছে। শিশুদের খেলার পরিবেশ থাকছে না। দ্বিতীয়ত, বাবা-মা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে শিশুদের বাইরের খেলায় পাঠাতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। তবে আরেকটি বিষয় হলো, বাবা-মা’রা নিজেদের অবসর সময় কাটানোর জন্য সন্তানের হাতে তুলে দিচ্ছে ডিজিটাল ডিভাইস।
ডা. হেলাল উদ্দিন আরও বলেন, ‘এই পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসতে হলে আমাদের পারিবারিক বন্ধনগুলো দৃঢ় করতে হবে। বাবা-মাকে তাদের সন্তানের জন্য গুণগত সময় ব্যয় করতে হবে। ঘরে বসেই ক্যারাম ও লুডু খেলাগুলোর অভ্যাস করতে হবে। বাড়ির পাশে যতটুকু সম্ভব আউটডোর গেইমসগুলো খেলার চেষ্টা করতে হবে। যদি বাবা-মা গান শুনতে চান, কোনো ভিডিও দেখতে চান বা ইউটিউব দেখতে চান তবে সেগুলো একা না দেখে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বড় স্ক্রিনে দেখার অভ্যাস করতে হবে।’
ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. শফি আহমেদ মুয়াজ সারাবাংলাকে বলেন, ‘ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার কিন্তু সমাজের সব শ্রেণির শিশুরা করছে না। একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে, উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের শিশুদের মধ্যে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের হার বেশি।’
তিনি আরও বলেন, ‘খেয়াল রাখতে হবে শিশুদের খাদ্যাভাসের দিকটাও। দেখা যায়, বর্তমানে অনেক শিশুই ফাস্ট ফুড বা বিভিন্ন জাংক ফুডের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। একদিকে শারীরিক অনুশীলনের অভাব আর অন্যদিকে খাদ্যাভাস, এই দুইয়ে মিলে শিশুরা শারীরিকভাবে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। ডিজিটাল ডিভাইসের ওপর অতিনির্ভরতা কারণে শিশুর মানসিক বিকাশ যেমন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে তেমনি ফাস্টফুডের কারণে তারা কম বয়সেই মুটিয়ে যাচ্ছে। এতে তাদের শরীরে নানা ধরনের রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। এ ক্ষেত্রে শিশুর বাবা-মাকে সচেতন হওয়া জরুরি।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ সারাবাংলাকে বলেন, ‘যতটুকু সম্ভব বাচ্চাদের ডিজিটাল ডিভাইস থেকে দূরে রাখতে হবে। এটি আসক্তি তৈরি করে, যা শিশুর জন্য ক্ষতিকর। ডিজিটাল ডিভাইসের ওপরে আসক্তি বেড়ে গেলে তাদের শারীরিক অনুশীলন কমে যায়। সেক্ষেত্রে তারা মোটা হয়ে যায় এবং ওজনও বাড়তে থাকে। ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে নানা রকম রোগের ঝুঁকি। এতে বয়স হলে তাদের উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়া তৈরি হতে পারে থাইরয়েডের সমস্যাও। শুধুমাত্র তাই নয়, এর বাইরেও চোখ ও মস্তিষ্কের ওপরেও একধরণের চাপ সৃষ্টি হয়।’
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘অতিমাত্রায় ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের ফলে শিশুর আইকিউ হয়তো সেভাবে নষ্ট হচ্ছে না, তবে তার মেধার বিশাল একটা বিশাল অংশ এই খাতে ব্যবহারের ফলে অন্যান্য স্থানে মেধার পূর্ণ প্রয়োগ হচ্ছে না। আর এক্ষেত্রে শিশুর বিকাশে প্রত্যক্ষভাবে না হলেও পরোক্ষভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিজিটাল ডিভাইসে আসক্তি দূর না হলে শিশুরা অন্যান্য কার্যক্রম থেকেও দূরে থাকে। আর এসব কারণে বাচ্চাদের শরীরে বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধে। এক্ষেত্রে ডিজিটাল ডিভাইস এড়িয়ে চলতে হলে শিশুদের পড়াশোনা পাশাপাশি বিভিন্ন শারীরিক অনুশীলন এবং ইনডোর ও আউটডোর খেলায় মনযোগী করে তুলতে হবে।