Saturday 05 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘যদি প্রয়োজন হয় লড়ব’— খালেদার জামিন প্রসঙ্গে ড. কামাল


৭ জানুয়ারি ২০২০ ১৩:২৬ | আপডেট: ৭ জানুয়ারি ২০২০ ১৫:৩৮
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা: যদি প্রয়োজন হয় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের জন্য লড়বেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে মতিঝিলে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

এর আগে ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। মিডিয়ার মাধ্যমে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতির খবর শোনার পর এ সভা আহ্বান করেন তিনি। এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সঈদ, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিকল্পধারার (একাংশ) চেয়ারম্যান নুরুল আমীন বেপারী।

বিজ্ঞাপন

ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি বিএনপির চেয়ারপারসন সাবেক তিন বারের প্রধানমন্ত্রী কারাবন্দি খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। এ রকম পরিস্থিতিতে আমরা তার আশু মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে গেলে, তার সম্পূর্ণ দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।’

সংক্ষিপ্ত এই বক্তব্যের পর সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন, ‘সংবিধান প্রণেতা হিসেবে এবং প্রবীণ আইনজীবী হিসেবে খালেদা জিয়ার জামিনের জন্য আপনি লড়বেন কী না?’

জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘এটাতো প্রেস কনফারেন্সে বলার কথা না। যে কারও যদি প্রয়োজন হয়, আমাকে চাইলে আমি অবশ্যই লড়ব।’

সংবিধান অনুযায়ী একজন কারাবন্দি হিসেবে খালেদা জিয়ার কিছু রাইটস রয়েছে। সেদিক থেকে তার সঙ্গে যা কিছু হচ্ছে, তাতে তার সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে কী না?— এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘অবশ্যই। এই বিষয়টি আমরা স্পষ্ট করে বলেছি। উনার চিকিৎসার ব্যাপারে আমরা যে দাবি করছি, সেটা যদি সরকার মেনে না নেয়, তখন এটাতো সংবিধান লংঘন করার শামিল, সেটা তো লিখিতভাবে আমরা বলেছি।’

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আরেক শীর্ষ নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘এই সরকার কিন্তু বঙ্গবন্ধুকেই অপমান করছেন। বঙ্গবন্ধু তার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এবং ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইয়ে লিখেছেন, ‘একাকিত্ব এক ধরনের অপরাধ। কাউকে যদি নিঃসঙ্গ বা একা রাখা হয়, সেটা ভয়ংকর অপরাধ। একাকিত্ব মানুষকে মানসিক অবসাদ সৃষ্টি করে। খালেদা জিয়া যদি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালেও থাকেন, সেখানেও তিনি একাকি থাকেন। এটা তার স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি।’

‘দ্বিতীয় বিষয়টি হলো, আমাদের মাননীয় বিচারপতিরা মূল একটা বিষয় মিস করেছেন। খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট যেটা দেওয়া হয়েছে, সেটি অসম্পূর্ণ একটা রিপোর্ট। সেখানে কোনো জায়গায় কোনো মানসিক রোগের কথা উল্লেখ ছিল না। মেডিকেল টিমে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ছিল না। খালেদা জিয়ার মূল যে রোগ ‘ফিজিওথেরাপি’ তার কোনো বিশেষজ্ঞ ছিল না। উনার যে রোগগুলো আছে, তার কোনো পরীক্ষা রিপোর্ট দেওয়া হয়নি’— বলেন ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘এই ধরনের একটা অসম্পূর্ণ রিপোর্ট দেখে মামলা ডিসমিস করে বিচারপতিরা ভুল কাজ করেছেন। অনৈতিক কাজ করেছেন। মানবিক কারণেই উনাকে মুক্তি দিতে কোথাও কোনো বাধা নেই। যদি প্রয়োজন হয় আমাদের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন কোর্টে যাবেন খালেদা জিয়ার জামিনের জন্য। কিন্তু বিচারপতিরা যদি পাথরের মতো থাকেন, বিবেকহীন থাকেন, তাহলে তো কিছু হবে না। আন্দোলন ছাড়া আমাদের কোনো পথ নাই।’

ড. কামাল হোসেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর