সরকারের জবাবদিহিতা না থাকায় ধর্ষণ হচ্ছে: আমির খসরু
৭ জানুয়ারি ২০২০ ১৬:০২
ঢাকা: সরকারের জবাবদিহিতা না থাকায় বাংলাদেশে ধর্ষণ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে তিনি একথা বলেন।
আমির খসরু চৌধুরী বলেন, `বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত শিশু, যুবতি ও বিবাহিত নারী ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটছে। এর পেছনে একটি বিষয় আছে। একটি ধর্ষণের জন্য সরকারকে জবাবদিহি করতে হয়। যেকোনো একটি দেশে যখন ধর্ষণ হয় তার প্রতিবাদে ঝড় ওঠে। বাংলাদেশে আজকে ধর্ষণ হচ্ছে, কালকে ভুলে যাচ্ছে। এই কারণেই বেশি ধর্ষণ হচ্ছে। কিন্তু এ নিয়ে সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নেই। শুধু ধর্ষণ নয়, এখানে কোনো ধরনের জবাবদিহিতা সরকারের নেই। সরকার প্রয়োজন মনে করছে না। যখন কোনো সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়, তখনই জবাবদিহিতার প্রশ্ন আসে। আজকে যারা ক্ষমতায় এসেছে তাদের জনগণের প্রতি কোনো জবাবদিহিতা নেই। যেখানে জবাবদিহিতার প্রশ্ন থাকবে না সেখানে অব্যাহতভাবে ধর্ষণ চলবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশকে আজ বিশ্বের সামনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি উদাহরণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে। পদে পদে মানবাধিকার লঙ্ঘন চলছে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে দেশ শাসনের ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে তারা। তাদের কাছে মানবাধিকার বলে কিছু নেই।’
২০১৪ সালে ভোটার ও প্রার্থী বিহীন একটি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছে সরকার জানিয়ে আমির খসরু আরও বলেন, ‘২০১৮ সালে মধ্যরাতে ভোট ডাকাতির করে, জনগণকে বাইরে রেখে ক্ষমতা দখল করেছে। অবৈধভাবে দেশ পরিচালনা করছে। এইবার তৃতীয় ধারায় নতুন পদ্ধতি বের করেছে, সেটার নাম ইভিএম। এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নীরবে ও নিঃশব্দে ভোট চুরি করে দেশের মানুষকে প্রতারিত করে আবার ক্ষমতা দখল করতে চায়। কারণ ব্যালট ও মধ্যরাতের ভোট চুরি হয়ে গেছে। একেকবার তারা একেক পন্থা অবলম্বন করছে। সুতরাং তাদের জনগণের কাছে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। ব্যাংক, শেয়ারবাজার, মেগা প্রজেক্ট লুট, বিদেশে টাকা পাচারে কোনো বিচার নেই। তারা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ভঙ্গুর করে তুলেছে।’
মানববন্ধনে বিএনপি মনোনীত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন বলেন, ‘২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের নামে একটি নাটক ও তামাশা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নোয়াখালীর সুবর্ণচরে আমাদের এক কর্মীর স্ত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়। কারণ তিনি ধানের শিষে ভোট দিয়েছিলেন। যেসরকার গঠন হয়েছে ৪ সন্তানের জননীকে ধর্ষণের মধ্য দিয়ে তাদের থেকে আমরা খুব বেশি কিছু আশা করতে পারি না। নারী ও শিশুদের জন্য সবচেয়ে অনিরাপদ শহরের তালিকায় ঢাকা ১ থেকে ৫ এর মধ্যে অবস্থান করছে। এটি হয়েছে একটি অনির্বাচিত সরকারের জনগণের প্রতি জবাবদিহিতা থাকায়।
মানবন্ধনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় আরও মানববন্ধনে আরও বক্তৃতা করেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।