ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে শাহবাগে মিছিল করেছে দলটির নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকেল চারটায় শাহবাগ মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শেরাটন সাকুরার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। মিছিলে অংশ নেন বিএনপির সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ওমর ফারুক কাউসার, সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, ছাত্রদল নেতা আসলাম, যুবদল নেতা সোহেলসহ প্রায় শ’খানেক নেতাকর্মী।
মিছিল শেষে রুহুল কবির রিজভী বলেন, “দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করা হয়েছে অন্যায়ভাবে সাজানো মামলায়। বেআইনি শাসকগোষ্ঠী ‘গণতন্ত্রের প্রতীক’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকিয়ে রেখেছে কেবলমাত্র দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যাতে কোনো প্রতিবাদ উচ্চারিত না হতে পারে সেজন্য।”
খালেদা জিয়াকে বিনা চিকিৎসায় তিলেতিলে প্রাণনাশের গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে সরকার— এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘তার হাত-পা ব্যথা-বেদনায় ক্রমান্বয়ে অবশ হয়ে যাচ্ছে। তিনি কিছুই খেতে পারছেন না। যা খাচ্ছেন সবই বমি হয়ে যাচ্ছে।’
দেশে এখন এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজমান— এমন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘গণতন্ত্রকে চিরতরে দেশ থেকে বিদায়ের জন্যই বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে এখন হত্যার ষড়যন্ত্র চলছে। মিডনাইট নির্বাচনের পর অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর প্রধান শেখ হাসিনা আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে এক ভয়াবহ দুঃশাসনের বেড়াজালে জনগণেকে আটকিয়ে রেখেছে।’
তিনি বলেন, ‘কথা বলা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণরূপে হরণ করা হয়েছে। জনগণকে ভয় দেখিয়ে চিরকাল রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে রাখার জন্যই গুম, খুন, বিচার বহির্ভূত হত্যা তথা রক্তপাতের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। মহাদুর্নীতি ও অবাধে লুটপাট নিশ্চিত করার জন্যই একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করা হয়েছে। জনগণের ওপর চলছে ক্ষমতাসীনদের স্টিম রোলার। চারিদিকে শুধু হাহাকার ও দীর্ঘশ্বাসের শব্দ শোনা যাচ্ছে।’
রিজভী আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ঐতিহ্যে বহুদলীয় গণতন্তের কোনো অস্তিত্ব নেই। জাতিকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করতে এবং হারানো গণতন্ত্র ফিরে পেতে খালেদা জিয়ার মুক্তির কোনো বিকল্প নেই। আমি আবারও দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।’