ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ইরানের ইমাম খোমেনি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পর দক্ষিণ তেহরানের একটি শহরতলী এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানটিতে ১৮০ জন যাত্রী ছাড়াও ক্রু’র রয়েছেন।
ইরানের আধা-রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা ফারস নিউজের এক টুইটের বরাত দিয়ে রয়টার্স এ খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বুধবার (৮ জানুয়ারি) কারিগরি ত্রুটির কারণে বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে এ দুর্ঘটনার বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। বিমানটি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উদ্দেশে ইমান খোমেনি বিমানবন্দর থেকে রওনা দিয়েছিল বলে জানা গেছে।
এদিকে, ইরানের জরুরি সেবা বিভাগের প্রধান পিরহোসেন কোলিভান্দ দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেলকে জানিয়েছেন, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর তাতে আগুন ধরে গিয়েছে। আমরা সেখানে উদ্ধারকর্মী পাঠিয়েছি। আমরা হয়তো সেখানকার কিছু যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করতে সমর্থ হব।
তবে আন্তর্জাতিক রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় কারও বেঁচে থাকার কোনো সম্ভাবনা নেই।
মার্কিন হামলায় ইরান রেভ্যুলেশনারি গার্ডের জেনারেল কাসেমি সোলেমানির মৃত্যুর জের ধরে ইরানে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কয়েক ঘণ্টা পর এই বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটল। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের কোনো যোগসূত্র এ দুর্ঘটনার সঙ্গে রয়েছে কি না, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
গত কয়েক বছরে বেশকিছু বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে ইরান। ২০১৪ সালে তেহরানের মেহেরবাদ বিমানবন্দর থেকে একটি বিমান উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়। ওই দুর্ঘটনায় বিমানের ৪৮ জন যাত্রী-ক্রু’র মধ্যে ৩৯ জনই প্রাণ হারান। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে তেহরান থেকে ইয়াসুজের পথে থাকা ৬৫ জন যাত্রীবাহী একটি ফ্লাইট ক্র্যাশ করে। ২০১৯ সালের শুরুর দিকেও ‘খারাপ আবহাওয়া’র কারণে একটি মিলিটারি কার্গো প্লেন ক্র্যাশ করে। পশ্চিম তেহরানে সংঘটিত এ দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা ১৬ জনের মধ্যে ১৫ জনই মারা যান।