Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আড়াইহাজারের ১২৪ টি বিদ্যালয়ে নেই শহীদ মিনার


২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ২০:২৪

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় ১২৪ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই। প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারি এলে অস্থায়ী শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানায় এ বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ফলে এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে প্রায় অজানাই থাকছে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস, অচেনা থাকছেন ভাষা শহীদরা। বিকশিত হচ্ছেনা একুশের চেতনা।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, আড়াইহাজার উপজেলায় ১২৪ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে প্রতি বছর ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে অস্থায়ী শহীদ মিনার বানিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান জানানো হয়। এসব বিদ্যালয়ে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। তারা মুক্তিযুদ্ধ, শহীদ মিনার ও ভাষা শহীদদের সম্পর্কে কিছু জানতে পারছে না।

আড়াইহাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মবিনুল ইসলাম ভূঞা জানান, প্রতি বছর ২১ শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে স্কুলে অস্থায়ী শহীদ মিনার বানানো হয়। তাতেই শিক্ষার্থীরা ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। এ জন্য কোনো আর্থিক বরাদ্দ না থাকায় অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরির ব্যয়ভারও স্কুলকেই নিতে হয়।

উপজেলার বালাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাদিম বলেন, প্রতি বছর অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করেই ২১ ফেব্রুয়ারি পালন করা হয়। এতে ভাষা শহীদদের সম্পর্কে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অনেককিছুই অজানা থেকে যাচ্ছে।

আড়াইহাজার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রাফেজা খাতুন জানান, ২১ শে ফেব্রুয়ারির দিন ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে ১২৪ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করার নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি লোকমান হোসেন বলেন, ৪ থেকে ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার রয়েছে। বিদ্যালয়ের নিজস্ব তহবিল থেকে প্রতি বছর অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করা হয়।

স্থানীয় চিত্রকর মনিরুজ্জামান মানিক বলেন, পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে শতকরা ৫০ শিশুই জানে না শহীদ মিনার কি? এটির কেন এতো বেশি গুরুত্ব রয়েছে। এতে করে ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস থেকে শিশুরা বঞ্চিত হচ্ছে। শহীদ মিনার সম্পর্কে জানাতে প্রাথমিক স্তরের প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকা উচিৎ বলে মনে করেন তিনি।

আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুরাইয়া খান বলেন, শহীদ মিনারের জন্য উপজেলা পরিষদে কোনো বরাদ্ধ নেই। বিভিন্ন উপজেলায় হয়তো জেলা পরিষদ থেকে এ সংক্রান্ত বরাদ্ধ হয়ে থাকতে পারে। তবে আড়াইহাজারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নেই। তবে সরকার যদি এ সংক্রান্ত কোনো প্রকল্প নেয়, তাহলে পরবর্তীতে তা বাস্তবায়ন করা হবে। ইতোমধ্যে একটি প্রস্তাব জেলা পরিষদে পাঠানো হয়েছে।

সারাবাংলা/ এমএইচ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর