Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মুজিববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ভিডিও বার্তা


৯ জানুয়ারি ২০২০ ১৭:৩৭

ঢাকা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি ঐতিহাসিক লন্ডন সফর যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় অংশীদার এবং দুই দেশের মানুষের বন্ধুত্বের মূল ভিত্তি বলে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন।

ঐতিহাসিক ওই সফরের দুদিন পর অর্থাৎ ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু ঢাকায় ফিরে আসেন; যা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক দিনগুলোকে স্মরণ করে মুজিববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ২ মিনিটের একটি ভিডিও বার্তা ছেড়েছেন।

বিজ্ঞাপন

ওই ভিডিও বার্তায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক লন্ডন সফরের একাধিক ছবি স্থান পেয়েছে। রয়েছে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ওই সময়ের ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের ছবি।

ভিডিও বার্তায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেন, ‘বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার হিসেবে আমি ইউকে-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের একটি ঐতিহাসিক ঘটনার কথা স্মরণ করে মুজিববর্ষকে স্বাগত জানাচ্ছি। মুক্তিযুদ্ধ শেষে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান থেকে মুক্ত হন তখন তিনি বাংলাদেশে আসার পথে যুক্তরাজ্য সফরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি রাতে বঙ্গবন্ধু তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার এডওয়ার্ড হিথ’র সাথে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে সাক্ষাৎ করেন। বঙ্গবন্ধুর সাথে সাক্ষাতের জন্যে স্যার এডওয়ার্ড হিথ তার ছুটি শেষ হওয়ার আগেই ফিরে আসেন।

বিজ্ঞাপন

ভিডিও বার্তায় তিনি আরও বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে স্যার এডওয়ার্ড হিথ এই সাক্ষাতের কথা স্মরণ করে ইউকে পার্লামেন্টে বলেন, যখন শেখ মুজিব আমার সাথে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে সাক্ষাৎ করতে আসেন তখন আমি তাকে ভারতীয় উপমহাদেশের তিনটি দেশের পরস্পরের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার ব্যাপারে আমাদের নীতির বিষয়ে অবগত করি। একই বছর স্যার এডওয়ার্ড হিথ আরও বলেন, বর্তমান অবস্থায় বাংলাদেশকে আমরা সর্বোচ্চ সহায়তা দেবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে আসার দুদিন পর, ১০ জানুয়ারি, ব্রিটিশ রয়েল এয়ার ফোর্সের একটি কমেট জেট বঙ্গবন্ধুকে ঢাকায় নিয়ে আসে। বাংলাদেশের মানুষ অধীর আগ্রহে বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় ছিল। আমি আনন্দিত যে, আগামী ১০ জানুয়ারি মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা উদ্বোধন করতে এই ঐতিহাসিক ঘটনার পুনরায় প্রণয়ন করা হবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে আমি এই পুনঃপ্রণয়ন দেখার প্রত্যাশা করছি।’

ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেন, ‘লন্ডনে বঙ্গবন্ধুর এই সফর ইউকে-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় অংশীদার এবং দুই দেশের মানুষের বন্ধুত্বের ভিত্তি। সেই সময় থেকে যুক্তরাজ্য স্বাধীন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সহযাত্রী এবং এ দেশের মানুষের শান্তি ও সমৃদ্ধির শুভাকাঙ্খী। বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করা প্রথম কয়েকটি দেশের মধ্যে অন্যতম যুক্তরাজ্য। ১৯৭২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্য বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। যুক্তরাজ্যের এই স্বীকৃতি বাংলাদেশকে কমনয়েলথভুক্ত অন্য দেশগুলো এবং পশ্চিমা বিশ্বের স্বীকৃতি পেতে সাহায্য করে।

তিনি আরও বলেন, ‘ইউকে-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৪৮ বছর পেরিয়ে গেছে। এই দীর্ঘ সময়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ ও মজবুত হয়েছে। যুক্তরাজ্য স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনকে স্বাগত জানায়। যুক্তরাজ্য প্রত্যাশা করে, আগামীতে দুই দেশের মানুষের সম্পর্ক আরও বাড়বে।’

ব্রিটিশ হাইকমিশনার ভিডিও বার্তা

বিজ্ঞাপন

খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমলো
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২১:০৮

আরো

সম্পর্কিত খবর