চট্টগ্রামে ছিনতাইচক্রের তিন সদস্য গ্রেফতার
৯ জানুয়ারি ২০২০ ২২:১০
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম নগরীতে দুই ছিনতাইকারী এবং ছিনতাইয়ের মালামাল কেনায় জড়িত একজনসহ ছিনতাই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডবলমুরিং থানা পুলিশ। ছিনতাইকারীরা সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে নগরীতে ঘোরাফেরা করে এবং সুযোগ বুঝে নারীদের কাছে থেকে ব্যাগ টান দিয়ে অথবা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ছিনতাই করে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতার তিনজন হলেন- নগরীর আমবাগান এলাকার এসকান্দর আলম (২৯) ও তার সহযোগী একই এলাকার সজল মিয়া (২৩) এবং নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারের কালাম মার্কেটের ‘অ্যাপেলস সিটি’ নামে একটি ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দোকানের মালিক জয়নাল আবেদিন (৩০)।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ সারাবাংলাকে জানান, গত ৬ জানুয়ারি সকালে আগ্রাবাদ এলাকায় রিকশায় করে যাবার পথে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মাহফুজা আলম প্রিমা ছিনতাইয়ের শিকার হন। চলন্ত অটোরিকশা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া তার ব্যাগে নগদ ১২ হাজার টাকা, ল্যাপটপ-মোবাইল, ক্রেডিট কার্ডসহ আরও বিভিন্ন সামগ্রী ছিল। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর ছিনতাইকারীদের ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ।
ছিনতাইকারী শনাক্ত হওয়ার পর বুধবার (০৮ জানুয়ারি) দুপুর থেকে তাদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়। আগ্রাবাদের বেপারি পাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় এসকান্দর ও সজল মিয়াকে। তাদের দেওয়া তথ্যে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত অটোরিকশা জব্দ করা হয়। এর যাত্রীদের বসার আসনের নিচে তল্লাশি করে একটি এলজি ও গুলি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া রাতে রিয়াজউদ্দিন বাজারের দোকান থেকে জয়নালকে গ্রেফতার করা হয় বলে ওসি জানিয়েছেন।
ওসি আরও জানান, এসকান্দর ও সজলের কাছ থেকে বিভিন্নসময় ছিনতাই করা ১৭টি ব্যাগ ও ৫টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ছিনতাইয়ের শিকার মাহফুজার ব্যাগ এবং মোবাইল সেটও আছে।
ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জহির হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘এসকান্দরের বড় ভাই কারাগারে থাকা ইউসুফ আলম পেশাদার ছিনতাইকারী। ছয় মাস আগ থেকে সজলকে সঙ্গে নিয়ে এসকান্দরও ছিনতাইয়ে নেমেছে। তারা প্রতিদিন সকালে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়। দিনভর শহরে ঘোরাঘুরি করে। সুযোগ পেলে লোকজন বিশেষ করে নারীদের কাঁধ থেকে ব্যাগ টান দিয়ে পালিয়ে যায়। ধরা পড়ার সম্ভাবনা থাকলে অথবা প্রতিরোধের সম্মুখীন হলে অটোরিকশার নিচ থেকে অস্ত্র বের করে ভয় দেখায়।’
এসকান্দরের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় একটি এবং সজলের বিরুদ্ধে বায়েজিদ বোস্তামি থানায় ২টি ছিনতাইয়ের মামলা আছে জানিয়ে পুলিশ পরিদর্শক জহির বলেন, ‘গত সেপ্টেম্বরে এসকান্দর পাঁচলাইশ থানায় গ্রেফতার হয়েছিল। বেরিয়ে এসে সে আবারও ছিনতাইয়ে জড়িয়েছে। কারাগার থেকে ইউসুফের নির্দেশে তারা নগরীতে ছিনতাই করে।’