থাপ্পড়ের প্রতিশোধ নিতে বন্ধুকে হত্যা
১১ জানুয়ারি ২০২০ ১৪:৩৭
নাটোর: ক্যারাম খেলা নিয়ে দ্বন্দ্ব ও থাপ্পড় মারার প্রতিশোধ নিতে রাজশাহীর বেসরকারি সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কামরুল ইসলাম ওরফে জাহিদকে হত্যা করা হয়ে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের চারদিনের মাথায় রহস্য উদঘাটন করে শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এই তথ্য জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সরকারি এনএস কলেজের অর্থনীতি বিভাগের অর্নাস প্রথম বর্ষের ছাত্র মিনহাজ হোসেনকে গ্রেফতার করার পর রহস্য উদঘাটন হয়। এরইমধ্যে মিনহাজ দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশ সুপার বলেন, ক্যারাম খেলা দিয়ে আগে থেকেই দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। এর মধ্যে কিছুদিন আগে সদর উপজেলার হালসা বাজারে একদিন ভ্যানে ওঠা নিয়ে মিনহাজ হোসেনকে দুটি থাপ্পড় মারে কামরুল ইসলাম ওরফে জাহিদ। এ ঘটনায় মনে ক্ষোভ দানা বাধে মিনহাজের। গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কামরুল ইসলামকে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করার কথা বলে নবীন কৃষ্ণপুর গ্রামের ইঁদুর মোড় থেকে কামরুলকে ডেকে ফাঁকা মাঠে নিয়ে যায় মিনহাজ। সেখানে মিনহাজ তার পকেট থাকা ধারালো অস্ত্র বের করে কামরুলের ঘাড়ে কোপ মারে। এসময় কামরুল দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলেও এক পর্যায়ে মাটিতে পড়ে যায়, এরপর তাকে কপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে মিনহাজ।
কামরুল হত্যার ঘটনায় সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি তদন্ত করছেন সদর থানার উপ-পরিদর্শক সামছুজ্জোহা।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান মিয়া, ডিএসবির ডিআইও-১ ইব্রাহিম হোসেন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈকত হাসান, সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফরিদ হোসেন উপস্থিতি ছিলেন।
বন্ধুকে হত্যা রাজশাহী সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হত্যা