যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের বিরোধে বিপাকে ইরাক
১১ জানুয়ারি ২০২০ ১৫:০৩
ইরানের শীর্ষ কমান্ডারকে ইরাকের মাটিতে মিসাইল ছুড়ে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি হয়েছে। তবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ‘কৌশলগত ঝুঁকিতে’ থাকা ইরাকের।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এমনটাই উঠে আসে।
নববর্ষ উপলক্ষে এ বছরের শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আবদেল আবদুল মাহদির টেলিফোনে কথোপকথন হয়। সেসময় মাহদি ট্রাম্পকে জানান, বন্ধু হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ৫ হাজার মাইল দূরত্বে অবস্থিত অপরদিকে ইরান প্রতিবেশী হিসেবে আছে ৫ হাজার বছর ধরে। ইরাক এ হিসেবে আটকা পড়েছে। ইরাক চাইলে তার ইতিহাস ও ভৌগলিক অবস্থান বদলাতে পারে না। এটাই ইরাকের বর্তমান বাস্তবতা।
স্বৈরশাসক সাদ্দামকে ক্ষমতাচ্যুত করায় ইরাকে যেমন মার্কিনপন্থি সমর্থন রয়েছে। তেমনি যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের ভুলে ইরাকের সাধারণ মানুষ যেভাবে মারা গেছে ইরাকিরা তাও ভুলতে পারবে না। তবে এরইমধ্যে ইরাকের পার্লামেন্ট মার্কিন সেনাদের ইরাক ছাড়ার পক্ষে প্রস্তাব পাস করেছে। যদিও অনেকেই ভাবছেন তা হবে ইরাকের জন্য ভয়ংকর। ইরাক এখনো নিজের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত কি না তা নিয়ে রয়েছে সন্দেহ।
এরসঙ্গে রয়েছে শিয়া-সুন্নি বিরোধের মতো বিষয়। ইরাকের পার্লামেন্টের ৩২৮ সদস্যের মধ্যে মাত্র ১৭০ জন ভোট দিয়েছেন ইরাক থেকে বিদেশি সৈন্য প্রত্যাহারের প্রস্তাবে। অধিকাংশ সুন্নি ও কুর্দি এমপিরা এ প্রস্তাবে ভোট দেননি।
আহমেদ আল-জারবা নামের এক এমপি প্রশ্ন রাখেন, আমেরিকান সৈন্যরা চলে গেলে আমাদের প্রতিবেশীরা আমাদের বন্ধু হবে নাকি কর্তা হবে!
প্রসঙ্গত, বাগদাদ এয়ারপোর্ট এলাকায় ড্রোন থেকে গাড়িতে মিসাইল ছুড়ে মার্কিন সেনারা হত্যা করে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের কুদস্ ফোর্স কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানি, ইরাকি মিলিশিয়া কমান্ডার আবু মাহাদি আল-মুহান্দিসসহ অন্তত ৮ জনকে। জবাবে ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে মিসাইল ছুড়ে ইরান।