চট্টগ্রামে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল পেল ১৩ লাখ শিশু
১১ জানুয়ারি ২০২০ ২১:২২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলায় ছয় থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রায় ১২ লাখ ৯৫ হাজার শিশুকে খাওয়ানো হয়েছে ‘ভিটামিন-এ’ ক্যাপসুল।
এর মধ্যে সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়নে ৬ লাখ ৩০ হাজার এবং বিভিন্ন উপজেলায় জেলা সিভিল সার্জন অফিসের তত্ত্বাবধায়নে সাত লাখ ৬৫ হাজার ৪৮৬ শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে নগরীর আগ্রাবাদ টিঅ্যান্ডটি কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একটি শিশুকে ‘ভিটামিন-এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২০ এর উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য, শিক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক। বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন বাচ্চু, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারহানা জাবেদ, সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সেলিম আকতার চৌধুরী।
আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আগামী প্রজন্মকে সুস্থ দেহ ও মনের অধিকারী করে গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। রাতকানা রোগ এবং অন্ধত্ব একটি অপুষ্টিজনিত সমস্যা, যা ভিটামিন-এ’র অভাবে হয়। অপুষ্টিজনিত রোগ প্রতিরোধে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ভিটামিন-এ ক্যাপসুল কার্যকর ভূমিকা রাখে। বর্তমান সরকার ছয় থেকে ৫৯ মাস বয়সী সব শিশুদের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। যে কারণে রাতকানা রোগ ও অন্ধত্বের হার কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, অন্ধত্বের মতো অভিশাপ আর কিছু নেই। অভিভাবক, বিশেষ করে মা ও বাবাকে সচেতন হতে হবে। এই কর্মসূচি থেকে যেন একটি শিশুও বাদ না পড়ে।
চট্টগ্রাম নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ১ হাজার ২৮৮টি কেন্দ্রে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী প্রায় ৮০ হাজার শিশুকে ১টি করে নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রায় সাড়ে ৪ লাখ ৩০ হাজার শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল সিটি করপোরেশন।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম জেলার ২শটি ইউনিয়নের ৬শ ওয়ার্ডের মোট চার হাজার ৮৩০টি কেন্দ্রে সাত লাখ ৬৫ হাজার ৪৮৬ শিশুকে ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা জানিয়েছিলেন সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বী।