খালেদা জিয়া ‘চলৎশক্তিহীন’ হয়ে পড়েছেন: রিজভী
১২ জানুয়ারি ২০২০ ১৪:০৩
ঢাকা: কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ‘চলৎশক্তিহীন’ হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রোববার (১২ জানুয়ারি) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
রিজভী বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ব্যক্তিহিংসার শিকার হয়ে গুরুতর রোগে-শোকে-ব্যথা-বেদনায় মুমূর্ষু অবস্থায় বন্দি হয়ে আছেন। সরকারের মদদে বেগম জিয়ার গুরুতর অসুস্থতা গোপন করা হচ্ছে। তার সুচিকিৎসারও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। বিনা চিকিৎসায় দেশনেত্রী অনেকটাই চলৎশক্তিহীন হয়ে পড়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রীর ওপর নিপীড়নের মাত্রা নাৎসি দুঃশাসনের অতীতের সকল রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক বিরোধীদের নিশ্চিন্তে বেঁচে থাকার কোনো সুযোগ নেই। তিনি নিজেকে গণতন্ত্রের পূজারী বললেও বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রথা-প্রতিষ্ঠানগগুলো ভেঙ্গে চুরমার করে প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ নগরীতে পরিণত করেছেন।’
আইন-আদালত-পুলিশ-প্রশাসন-নির্বাচন কমিশন সবই প্রধানমন্ত্রীর হুকুমের দাস— মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘বিচার ব্যবস্থায় ন্যায় বিচারের স্থলে ভয়ভীতির স্থায়ী আসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সুতরাং মানুষের অধিকার নিশ্চিত করার আর কোনো আশ্রয়স্থল নেই। তাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মানবাধিকার বঞ্চিত। বন্দিশালার ছোট্ট কক্ষে আবদ্ধ রেখে দেশনেত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে ধুকে ধুকে নিঃশেষ করে দেওয়াটাই প্রধানমন্ত্রীর প্রধান লক্ষ্য।’
তিনি বলেন, ‘যে দেশে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই, সেই দেশে মানুষের স্বাধীনতা অর্থহীন। যে ধরনের মামলায় অন্য সকলেই জামিন পেয়েছেন, সেই একই মামলায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দেওয়া হয়নি। নির্ধারিত দিন পার হওয়ার পরও দিনের পর দিন দেশনেত্রীর আত্মীস্বজনদের দেখা করতে না দেওয়াতে প্রমাণ হয়— বেগম খালেদা জিয়া বন্দি শুধুমাত্রই একজন ব্যক্তির প্রতিহিংসা চরিতার্থের কারণেই।’
বিএনপিকে নির্মূলের নীতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো ভেঙ্গে ফেলে বিরোধীদলশূন্য দেশগঠনের জন্যই বেগম জিয়ার ওপর চলছে অত্যাচার, জুলুম ও জীবননাশের ষড়যন্ত্র। মানবতার এই দুর্বিষহ অবস্থায় জনগণের ক্ষুব্ধতা এখন প্রতিরোধে রূপ নিতে যাচ্ছে।’