রাজবাড়ীতে গ্রীনলাইন বাসের চাপায় নিহত ৫
১২ জানুয়ারি ২০২০ ১৭:২৮
রাজবাড়ী: রাজবাড়ীতে গ্রীনলাইন পরিবহনের একটি বাসের চাপায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার (স্থানীয়ভাবে মাহেন্দ্র নামে পরিচিত) পাঁচ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১২ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুর ছোট ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে চার জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন— রাজবাড়ী সদরের আহলাদিপুর গ্রামের নায়েব আলীর স্ত্রী রাশিদা বেগম (৪০) ও মেয়ে তাসলিমা খাতুন (১৫), ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলি এলাকার আব্দুর রফিক নান্নুর ছেলে ইমরান হোসেন রিফাত (২২) ও গোয়ালন্দ উপজেলার তোরাপ শেখের পড়ার আরশাদ শেখের ছেলে মোস্তফা শেখ (৪৫)।
আহলাদিপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ পারভেজ জানান, বেনাপোল থেকে ঢাকাগামী গ্রীনলাইন পরিবহনের বাসটি বিকেল সোয়া ৩টার দিকে খানখানাপুর ছোট ব্রিজ এলাকায় পৌঁছলে একটি ট্রাককে ওভারটেক করার চেষ্টা করে। এসময় উল্টো দিক থেকে আসা মাহেন্দ্রকে (অটোরিকশা) চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাহেন্দ্র অটোরিকশার পাঁচ যাত্রীর মৃত্যু হয়।
পুলিশ ঘাতক বাসটিকে আটক করলেও এর চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে বলে জানান ওসি।
এর আগে, ২০১৮ সালের ২৮ এপ্রিল মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে কথা কাটাকাটির জেরে গ্রীনলাইন পরিবহনের বাসচালক ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাইভেটকার চালকের ওপর দিয়েই বাস চালিয়ে দেন। এতে প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারের (২৩) বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। শঙ্কায় পড়ে তার জীবন।
একই বছরে ১৪ মে রাসেলকে কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ২০১৯ সালের ১২ মার্চ রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। দুই সপ্তাহের মধ্যে গ্রীন লাইনকে এ টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়। ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশের পাশাপাশি রাসেলের অন্য পায়ে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হলে এবং কাটাপড়া বাম পায়ে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃত্রিম পা লাগানোর খরচও গ্রিনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে দিতে বলা হয়েছিল।তবে শুরু থেকেই টাকা দেওয়া নিয়ে নানান টালবাহানা করে গ্রীনলাইন কর্তৃপক্ষ।
ওই বছরের এপ্রিল ও জুলাই মাসে দুই দফায় ১০ লাখ টাকা দেওয়া হয় রাসেলকে। মাসিক কিস্তিতে বাকি টাকা দেওয়া হবে বলেও জানায় কর্ত ৃপক্ষ।