সিটি নির্বাচন পেছাবে কি না, সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে ইসি
১২ জানুয়ারি ২০২০ ১৬:১২
ঢাকা: ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন পেছাবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন। রোববার (১২ জানুয়ারি) বিকাল ৪টার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কক্ষে অনির্ধারিত এই বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ৪ নির্বাচন কমিশনার এবং ইসি সচিব উপস্থিত রয়েছেন। ইসি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আগের ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা।
ইসির অতিরিক্ত সচিব মুখলেছুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন সরস্বতী পূজা উপলক্ষে ভোট পেছানোর সুপারিশ করে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠির বিষয়টি আমরা নির্বাচন কমিশনাকে জানিয়েছি।’
এর আগে, গত ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা এক চিঠিতে পূজার জন্য ভোট পেছাতে দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে চিঠি দেন। এই আবেদনের ভিত্তিতেই নির্বাচন পেছানোর জন্য ১০ জানুয়ারি পত্রযোগে নির্বাচন কমিশনকে সুপারিশ করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন।
ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয় গত ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখের প্রজ্ঞাপনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর এবং সাধারণ আসনের কাউন্সিলর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ জানুয়ারি ২০২০ তারিখ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু আগামী ৩০ তারিখে সনাতন ধর্মালম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। লগ্ন বা তিথির মধ্যে করতে হয় বিধায় পূজার তারিখ পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। যেহেতু পুরান ঢাকা একটি ঘনবসতি এলাকা। সেহেতু ওই এলাকার সনাতন ধর্মালম্বীদের এসব প্রতিষ্ঠান ছাড়া এই পূজা পালন অনেকাংশেই সম্ভব হবে না।’
এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হল শাখা নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের জন্য একটি চিঠি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, সরস্বতী পূজা উপলক্ষে গত ২২ ডিসেম্বর দুই সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন সিটি নির্বাচন পেছানোর জন্য ইসিকে চিঠি দেয়। ইতিমধ্যে এটা নিয়ে আদালতে রিটও হয়েছে।