ডুপ্লিকেট চালানে ১২ কোটি ১৩ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি উদঘাটন
১২ জানুয়ারি ২০২০ ২১:১৮
ঢাকা: ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনারেটের একটি অভিযানিক টিম সাভারের আটলান্টা স্টিল অ্যান্ড টেকনোলজিস লিমিটেড স্টিল কারখানায় অভিযান চালিয়ে দেড় বছরে ১২ কোটি ১৩ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি উদঘাটন করেছে। ভুয়া রেজিস্ট্রার ব্যবহার করে এই ভ্যাট ফাঁকি দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার ড. মইনুল খান রোববার (১২ জানুয়ারি) সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভ্যাট কমিশনারেট সূত্রে জানা গেছে, সাভারের আটলান্টা স্টিল অ্যান্ড টেকনোলজিস লিমিটেড বিভিন্ন স্টিল স্ট্রাকচার ও বিদ্যুতের সরঞ্জাম তৈরি করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন সাভার ভ্যাট বিভাগের প্রধান উপকমিশনার মো. খায়রুল আলম ও তার দল। তারা ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর ওই কারখানায় আকস্মিক পরিদর্শনে যান। এসময় কারখানা থেকে মূসক রেজিস্ট্রার ও অন্যান্য বাণিজ্যিক কাগজপত্র জব্দ করা হয়। পরে সেসব কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠান থেকে জব্দ করা আয়-ব্যয় হিসাব এবং ইস্যুকৃত মূসক চালান অনুযায়ী মাসিক দাখিলপত্র পেশ করা হয়নি।
ড. মইনুল বলেন, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে আয়-ব্যয় হিসাব অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির প্রকৃত বিক্রির পরিমাণ ১২৬ কোটি টাকা। কিন্তু তারা ভ্যাট জমা দিয়েছে মাত্র ৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকার। প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটির আরও ১২ কোটি ১৩ লাখ টাকা ভ্যাট প্রদেয় হয়েছিল।
ড. মইনুল আরও বলেন, এই ফাঁকি দেওয়া টাকার পরিমাণ সংশ্লিষ্ট বিক্রির হিসাব প্রতিষ্ঠানটি গোপন রেখেছে। ভ্যাট দলের পরিদর্শনের সময় এসব কাগজপত্র ফর্ম মূসক ১২.৩ দিয়ে জব্দ করা হয়। এসবের ভেতর ডুপ্লিকেট ফর্ম মূসক ৬.৩ নামের বেশ কয়েকটি বইও পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আরও তদন্তপূর্বক ভ্যাট আইনের আওতায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ড. মইনুল খান সারাবাংলাকে বলেন, এনবিআরের নির্দেশে আমরা ব্যবসায়ীদের নতুন আইন পরিপালনে উদ্বুদ্ধ করছি। তবে কেউ ভ্যাট ফাঁকির সঙ্গে জড়িত হলে আইনে বর্ণিত যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি।