ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকা মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত বরাবর পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কায়সারুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
আদালত সুত্রে জানা যায়, আবরার হত্যা মামলার নথি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য মামলাটি চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর সিএমএম আদালত মামলাটি বিচারের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠাবেন।
গত ১৩ নভেম্বর আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র করে আদালতে জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ওয়াহেদুজ্জামান।
অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহার নামীয় ১৯ জন এবং তদন্তে প্রাপ্ত এজাহার বহির্ভূত ৬ জন। এর মধ্যে এজাহারভূক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জন ও এজাহার বহির্ভূত ৬ জনের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৮ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
চার্জশিট ভুক্ত আসামিরা হলেন, মেহেদী হাসান রাসেল, মোঃ অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মোঃ মেহেদী হাসান রবিন, মোঃ মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মোঃ মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মোঃ মনিরুজ্জামান মনির, মোঃ আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মোঃ মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও এস এম মাহমুদ সেতু।
চার্জশিট ভুক্ত পলাতক তিন আসামি হলেন, মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ ।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর ভোরে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তী সময়ে জানা যায়, শিবির সন্দেহে তাকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে মেরেছে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ পরিপ্রেক্ষিতে আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।