‘ভিক্ষুক পুনর্বাসনে চাহিদা ৪৫০ কোটি টাকা, বরাদ্দ ৩ কোটি’
১৩ জানুয়ারি ২০২০ ১৮:৩৫
সংসদ ভবন থেকে: সারাদেশের ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন কার্যক্রমে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাড়ে চারশ কোটি টাকা চাহিদার বিপরীতে মাত্র তিন কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী মো. নুরুজ্জামান আহমেদ।
তিনি বলেন, আমাদের চাহিদার তুলনায় একেবারেই সামান্য টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। পুরো টাকাই ভিক্ষুকের পুনর্বাসনে মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (১৪ জানুয়ারি) একাদশ জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনের দ্বিতীয় কার্যদিবসে টেবিলে উত্থাপিত চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদে এ তথ্য জানান। এসময় মন্ত্রী আরও জানান, দেশে বর্তমান ভিক্ষুকের সংখ্যা আড়াই লাখ।
একই সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে সমাজকল্যাণমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে ভিক্ষুকের সংখ্যা নির্ধারণের জন্য সমন্বিতভাবে কোনো জরিপ চালানো হয়নি। তবে জেলা পর্যায়ের জেলা প্রশাসক ও জেলা সমাজসেবা অফিসের উপপরিচালকের কার্যালয়ের জরিপ অনুযায়ী সারাদেশে ভিক্ষুকের সংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজার। এসব ভিক্ষুকের পুর্নবাসন কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সাড়ে চারশ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয় পেয়েছে মাত্র ৩ কোটি টাকা। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। ভিক্ষুকের পুর্নবাসনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ডিসিদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে।
সংসদ সদস্য মো. ফরিদুল হক খানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের ১৮ জেলায় ৫১টি উপজেলা ও ইউনিটের অধীনে বয়স্ক, বিধবা ভাতা, স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার নারী ও অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধীদের ভাতা দেওয়া হচ্ছে। এসব ভাতা উপকারভোগীদের ডিজিটাল পদ্ধতি, তথা জিটুপি পদ্ধতি দেওয়া হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ২১ হাজার ৪৪৩ লাখ লাখ টাকা প্রক্কলিত ব্যয়ে সিটিএম প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে।
এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, সরকারি শিশু পরিবার পিতৃহীন অথবা পিতৃ-মাতৃহীন ৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুদের লালন-পালন করে থাকে। বয়স ১৮ বছর হলে তাদের বিয়ে, চাকরি, প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার মাধ্যমে সামাজিকভাবে পুর্নবাসন করা হয়। ছয়টি বিভাগে ছয়টি এতিম ও প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে। সরকারি শিশু পরিবার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৬৯ হাজার ২৮৬ জনকে পুর্নবাসন করা হয়েছে।
ভিক্ষুক ভিক্ষুক পুনর্বাসন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সমাজকল্যাণমন্ত্রী