Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশে আলো ছড়িয়ে বিদায় নিল পৌষ


১৫ জানুয়ারি ২০২০ ০০:২১

পৌষের শেষ বিকেলটা ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন। সূর্য কখনো কখনো উঁকি দিচ্ছে পশ্চিমাকাশে আবার কখনো লুকিয়ে পড়ছে কুয়াশায়। পুরান ঢাকার আকাশ তখন রঙিন ঘুড়িতে ছেয়ে গেছে। চলছে ঘুড়ি কাটাকাটির খেলা। এই খেলায় মনে করিয়ে দেয় আজ পৌষ সংক্রান্তি।

আজ মঙ্গলবার (১৪ ই জানুয়ারি) বিকেল থেকেই পুরান ঢাকার সুত্রাপুর এলাকার বাসিন্দারা এই পৌষ সংক্রান্তি বা সাকরাইন উৎসবে মেতে ওঠে। রাজধানীর পুরান ঢাকার সুত্রাপুরসহ আশেপাশের এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বিকেল থেকেই শুরু হয় ঘুড়ি উড়ানো। পরিবারের ছোট বড় সদস্যরা এসময় ঘুড়ি কাটা খেলায় মেতে উঠে। সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয় আগুণখেলা। মুখে কেরোসিন নিয়ে আগুণে ফুক দিয়ে ছেলেরা খেলায় মগ্ন থাকে।

তাছাড়া সাকরাইন উৎসবের রাতের আকাশে ছিল হাজার হাজার আঁতশবাজি আর ফানুশের মেলা। সঙ্গে প্রতিটা বাড়ির ছাদে ছিল ডিজে পার্টির আয়োজন। পৌষ সংক্রান্তি পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী উৎসব হলেও এই আয়োজন উপভোগ করতে অনেকেই আসেন দূর-দূরান্ত থেকে। তাদেরই একজন মোফাজ্জল ইসলাম। ৫৫ বছর বয়সী মোফাজ্জল প্রথমবারের মত এই উৎসব উপভোগ করতে এসে বলেন ‘জীবনে প্রথমবার এই সাকরাইন উৎসব দেখতে এসেছি, এতো মজা হয় এখানে যদি জানতাম তাহলে তরুণ বয়স থেকেই আসতাম। এখন মনে হচ্ছে অনেক কিছুই মিস করেছি।’
বনশ্রী থেকে আসা এক তরুণী বলেন ‘এই দিনটার জন্য সারাটা বছর অপেক্ষা করি। পৌষ সংক্রান্তিতে যেখানেই থাকি বিকেলে ঠিক পুরান ঢাকাতে এসে হাজির হয় এই আলোকসজ্জ্বা দেখতে।’

এই দিনটি ঘিরে পুরান ঢাকার বাসিন্দাদের মধ্যে অন্যরকম এক আনন্দ বিরাজ করে। পিঠেপুলি খাওয়া ও আত্বীয় স্বজনদের দাওয়াত করে দিনটিকে উদযাপন করে। সুত্রাপুরের বাসিন্দা নিজাম বলছিলেন ‘সাকরাইন আমাদের কাছে শুধু একটা উৎসব না আমাদের একটা আবেগের জায়গা। প্রতিবছর এই দিনটিকে আমরা বিভিন্নভাবে স্মরণীয় করে রাখি।’

বিজ্ঞাপন

পুরান ঢাকার আদি এই উৎসব বাংলা সংস্কৃতির একটা অংশ। পিঠেপুলি খেয়ে ঘুড়ি উড়ানো ছিল এই উৎসবের মূল আকর্ষণ তাই এটাকে অনেকেই বলে ঘুড়ি উৎসব। এখন সময়ের পরিক্রমায় এই উৎসবে এসেছে ভিন্নতা। কিন্তু পুরান ঢাকার বাসিন্দারা এই উৎসবকে এখনো ধুমধাম করে পালন করে।

উৎসব পুরান ঢাকা পৌষ সাকরাইন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর