শাহবাগে শিক্ষার্থীকে পিস্তল উঁচিয়ে হুমকি
১৫ জানুয়ারি ২০২০ ১৫:০৫
ঢাকা: ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের দাবিতে শাহবাগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীকে পিস্তল উঁচিয়ে হুমকি দেওয়ায় আসিফ রশিদ খান মুন নামের এক আদম ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে বারডেম হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নির্বাচন কমিশন অভিমুখে শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা শাহবাগের আটকে দেওয়া হয়। এ সময় মোড়ের সবগুলো সড়ক মুখ বন্ধ করে দেয় পুলিশ। সেই হিসাবে বারডেমের সামনের সড়কমুখেও বেরিকেড দেওয়া ছিল। এ সময় একটি প্রাইভেট কার থেকে এক ব্যক্তি বের হয়ে এসে সাইড দিতে বলায় তার সঙ্গে তর্ক শুরু হয় জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থী কপিল দেব বর্মনের। ওই ব্যক্তি পিস্তল উঁচিয়ে তাকে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করে কপিল দেব বর্মন।
পরে শিক্ষার্থীরা ওই ব্যক্তিকে মারধর করে। এক পর্যায়ে পুলিশ তাকে হেলমেট পরিয়ে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। যদিও থানায় যাওয়ার পর পুলিশ জানতে পারে, তার পিস্তলটি খোয়া গেছে। সেটি পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি। লোকটিকে কেউ কেউ বিদেশি বলছেন আবার কেউ বলছেন বাংলাদেশি।
পরে এ বিষয়ে রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) আজিমুল হক বলেন, পিস্তল উঁচিয়ে শিক্ষার্থীদের হুমকি দেওয়ার একটি মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি আমরা। ওই সময় মারধরের ঘটনাও ঘটে। আমরা তাকে নিরাপদে থানায় নিয়ে যাই। তার গাড়ি থেকে একটি শটগান ও একটি পিস্তল পেয়েছি। আপাতত তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। যাচাই করে দেখা হচ্ছে পুরো বিষয়টি।
শাহবাগ থানা সুত্র জানায়, পিস্তল উঁচিয়ে ধরা ব্যক্তি আদম ব্যবসায়ী। তার পিস্তল ও শর্টগান দুটি লাইসেন্স করা। গাড়িতে তিনি তার স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তার স্ত্রী একজন অন্তঃসত্ত্বা। দীর্ঘক্ষণ গাড়িতে বসে ছিলেন তারা। এক পর্যায়ে বিরক্ত হয়ে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করতে গিয়েই কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। এরপর তিনি পিস্তল উঁচিয়ে ধরেন।
এর আগে ৩০ জানুয়ারি ঢাকা দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের দাবিতে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা শাহবাগে অবস্থান নিয়েছে। আগের দিনের ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বেলা ১২টা থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি শুরু করে। পরে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করলেও পুলিশের বাধায় শাহবাগে অবস্থান নেয় তারা।
এক প্রশ্নের জবাবে এডিসি আজিমুল হক বলেন, জনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করে কিছু শিক্ষার্থী নির্বাচন কমিশন অভিমুখে যেতে চাইলে আমরা বাধা দিয়েছি। এরপর তারা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য শাহবাগে অবস্থান নেয়।