রোহিঙ্গা নারীর হাতে জাল সনদ, মানিকগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে
১৫ জানুয়ারি ২০২০ ২১:৫৬
মানিকগঞ্জ: রোহিঙ্গা নারীকে জাল জন্ম সনদ দেওয়ার অভিযোগে মানিকগঞ্জের দিঘুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মতিউর রহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদলতের বিচারক মমতাজ বেগম এই আদেশ দেন। এদিন মতিয়ার রহমান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দায়ের হওয়া মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এর আগে হাইকোর্ট বিভাগ থেকে এই মামলায় জামিনে ছিলেন তিনি।
সূত্র জানায়, আসমা নামে রোহিঙ্গা এক নারীকে জাল জন্ম সনদ দিয়েছিলেন মতিউর রহমান। আসমার বাবার নাম সিরাজুল হক। তার রোহিঙ্গা নিবন্ধন নম্বর: ১৪৩২০১৭১২১৩১৫৪৪১৫। নিবন্ধন অনুযায়ী, তার জন্ম হয় ২০০১ সালের ৫ জানুয়ারি। ২০১৭ সালের ১০ অক্টোবর টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আসমার নাম নিবন্ধিত হয়।
মতিউর রহমান তাকে দিঘুলিয়া ইউনিয়নের বেংরোয়া গ্রামের আব্দুল হাইয়ের মেয়ে পরিচয়ে জাল জন্ম সনদ দেন। তাতে তার নাম উল্লেখ করা হয় জান্নাত আক্তার। জন্ম ২০০০ সালের ১০ জুন। সেই সনদ নিয়ে গত বছরের ১৩ নভেম্বর মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যান আসমা। রেজাউল করিম নামে এক ব্যক্তি জান্নাত আক্তারের স্বামী সেজে সঙ্গে গিয়েছিলেন।
তবে পাসপোর্ট আবেদন ফরম দেখে এবং কথা বলে সুপারিনটেনডেন্ট মো. মনিরুজ্জামান জালিয়াতির বিষয়টি ধরে ফেলেন। এরপর আসমা এবং রেজাউলকে থানায় সোপর্দ করা হয়।
এ ঘটনায় মো. মনিরজ্জিামান বাদী হয়ে দিঘুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. মতিয়ার রহমান, ভুয়া স্বামী রেজউল করিম, পাসপোর্ট ফরমে শনাক্তকারী মানিকগঞ্জ জেলা জজ আদালতের আইনজীবী মো. মনোয়ার হোসাইন এবং আসমাকে আসামি করে মামলা করেন।