সংসদে বাতিঘর আইন ও প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল বিল উত্থাপন
১৫ জানুয়ারি ২০২০ ২২:৩১
জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: বাংলাদেশ বাতিঘর আইন, ২০২০ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল আইন ২০২০ জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে বিল দুইটি পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল আইন বিলটি উত্থাপন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াসেফ ওসমান। অন্যদিকে, বাংলাদেশ বাতিঘর আইন বিলটি উত্থাপন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল বিলটি উত্থাপনের বিরোধিতা করে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, কাউন্সিল করতে হলে এর সঙ্গে গ্র্যাজুয়েট কাউন্সিলর থাকতে হয়। কিন্তু এই বিলে তার কোনো উল্লেখ নেই।
জবাবে ইয়াফেস ওসমান বলেন, এর সঙ্গে শিক্ষার কোনো সম্পর্ক নেই। শিক্ষিত লোকেরাই এই কাউন্সিলে থাকবেন। অভিজ্ঞ প্রকৌশলী, প্রকৌশল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রকৌশল পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে কাউন্সিল পরিচালিত হবে। পরে কণ্ঠভোটে বিলটি উপস্থাপিত হয়।
এদিকে, সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে নিরাপদ নৌচলাচল এবং দেশের বন্দরে চলাচলকারী নৌযান থেকে মাশুল ও জরিমানা আদায়ের বিধান রেখে বাংলাদেশ বাতিঘর আইন বিলটি উত্থাপিত হয়েছে সংসদে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৯২৭ সালের ‘দ্য লাইট হাউজ অ্যাক্ট, ১৯২৭’ রদ করে আইনটি সময়োপযোগী করে নতুন করে প্রণয়ন করা হয়েছে। ২০১৫ সালের ২ নভেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিলটি বাংলা ভাষায় রূপান্তর, সংশোধন ও পরিমার্জন করে প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হয়। সে আলোকে বিলটি প্রণয়ন করা হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চলে বর্তমানে তিনটি বাতিঘর রয়েছে। আরও চারটি বাতিঘর স্থাপনের প্রক্রিয়া চলমান। এসব বাতিঘরের জন্য প্রস্তাবিত বিলে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বন্দরে আগত ও প্রত্যাগত এবং এক বন্দর থেকে অন্য বন্দরে যাতায়াতের জন্য জাহাজের সময়, বাতিঘর মাশুল নির্ধারণ ও আদায় করা হবে। নৌবাণিজ্য অধিদফতর বা তার পক্ষে কাস্টম কমিশনার সরাসরি বা অনলাইন ব্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাতিঘর মাশুল আদায় করবেন। মাশুল নির্ধারিত হবে টন ভিত্তিতে। তবে ১০ টনের নিচে কোনো জাহাজ বা অবাণ্যিজিক জাহাজ এবং নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত জাহাজের কোনো মাশুল লাগবে না।
বিলে আরও বলা হয়, এই আইনের অধীনে সরকার একটি বাতিঘর বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করবে। এছাড়া নৌপরিবহন অধিদফতর একজন প্রধান পরিদর্শক ও প্রত্যেক বাতিঘর অঞ্চলের জন্য তত্ত্বাবধায়ক ও প্রয়োজনীয়সংখ্যক পরিদর্শক থাকবে।
পরে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে বিল দুইটি পাঠানো হয়েছে।
জাতীয় সংসদ বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল আইন বাংলাদেশ বাতিঘর আইন বিল উত্থাপন সংসদ অধিবেশন