Tuesday 15 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাংলাদেশি বাবা-মেয়ের সফলতার গল্প জানালেন বিল গেটস


১৬ জানুয়ারি ২০২০ ১৫:২২ | আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২০ ১৫:২৫
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সমীর সাহা ও তার মেয়ে সেঁজুতি সাহা বাংলাদেশি স্বাস্থ্য গবেষক। শিশুমৃত্যু রোধে তারা কাজ করে যাচ্ছেন ঢাকার শিশুস্বাস্থ্য গবেষণা ফাউন্ডেশনে (সিএইচআরএফ)। গবেষণাক্ষেত্রে বাবা ও মেয়ের অবদানের কথা নিজ ব্লগিং সাইট ‘গেটসনোটে’ লিখেছেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা ও মানবসেবী বিল গেটস। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) প্রকাশিত ওই লেখায় গেটস জানিয়েছেন, বাংলাদেশের শিশুদের স্বাস্থ্যসেবায় কী করে এই দুই গবেষক অবদান রেখে চলেছেন।

বিল গেটস শুরুতেই লেখেন, ‘সেঁজুতি সাহা যখন খুব ছোট ছিলেন, খেয়াল করতেন, রাতের বেলায় খাবার টেবিলে কথা হচ্ছে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং রোগ সংক্রমণ নিয়ে। খাওয়া সময় এ ধরনের বিষয় নিয়ে আলোচনা উদ্ভট বলেই মনে হতে পারে। তবে ড. সমীর সাহা মাইক্রোবায়োলজির অধ্যাপক, তার কাজ নিয়ে বাড়িতে আলোচনা করতেন তিনি। বাংলাদেশে স্বাস্থ্যগত চ্যালেঞ্জ নিয়ে যখন যা জানতেন ও শিখতেন তা নিয়ে কথা বলতেন টেবিলে। (যদি আমার জন্যও সেখানে একটি চেয়ার থাকত! আমি রোগ সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি)।’

বিজ্ঞাপন

সেসব আলোচনা সেঁজুতির ওপর বড় প্রভাব ফেলেছিল বলে উল্লেখ করেন বিল গেটস। তিনি জানান, ‘এরপর সেঁজুতি নিজেকে একজন অণুজীববিজ্ঞানী হিসেবে গড়ে তোলেন। ডা. সেঁজুতি সাহা বর্তমানে তার বাবার সঙ্গেই কাজ করছেন শিশুস্বাস্থ্য গবেষণা ফাউন্ডেশনে (সিএইচআরএফ)। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশে শিশুমৃত্যু কমিয়ে আনতে কাজ করছে।’

‘বাবা ও মেয়ে এখন বিশ্ব স্বাস্থ্যখাতের অনুপ্রেরণাদায়ী ব্যক্তিত্ব। তারা উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর স্বাস্থ্যসেবার ব্যবধান কমাতে কাজ করছেন। সংক্রামক ব্যাধির বিরুদ্ধে টিকাদানকে কাজে লাগাচ্ছেন। তাদের গবেষণা শুধু বাংলাদেশেই নয়, একই স্বাস্থ্যগত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশও কাজে লাগাচ্ছে।’ উল্লেখ করেন তিনি।

সিএইচআরএফকে ধন্যবাদ জানিয়ে গেটস লেখেন, ‘ শিশুদের জন্য সরকারের গৃহীত টিকাদান কর্মসূচি ও সিএইচআরএফের কাজের সুবাদে বাংলাদেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার কমে এসেছে। ১৭ কোটি মানুষের দেশে টিকাদান কর্মসূচির আওতা এখন ৯৮ শতাংশে পৌঁছেছে।’

‘ঢাকা শিশু হাসপাতালের অণুজীব বিভাগেরও প্রধান ড. সমীর, মেনিনজাইটিস ও নিউমোনিয়ার টিকার ব্যবহারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। বাংলাদেশের মতো স্বল্প আয়ের দেশে এসব টিকা সহজলভ্য ছিল না।’

 ‘এছাড়া, চিকুনগুনিয়া জ্বরের বিস্তারের কারণেই মেনিনজাইটিসের প্রকোপ বেড়েছে এমন রহস্য উন্মোচন করেন সেঁজুতি সাহা । বাংলাদেশে এ রোগনির্ণয়ে সেঁজুতি স্বল্পমূল্যের একটি উপকরণ বের করেন তিনি।’ লেখেন গেটস।

গেটস জানান, বাংলাদেশকে এখনো অনেক দূর পাড়ি দিতে হবে। এক অনুষ্ঠানে বক্তব্যে সেঁজুতি তার কাজের গল্প শুনিয়েছেন। যে গল্পে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে বিদ্যমান স্বাস্থ্যগত নানা চ্যালেঞ্জের কথা। ঢাকা শিশু হাসপাতালের ৬৬৫টি শয্যা সব সময় রোগীতে পূর্ণ থাকে। বাংলাদেশ রোগ প্রতিরোধে আরও বেশি কিছু করতে পারলে, প্রতিরোধযোগ্য অসুস্থতার দিকে মনোযোগ দিতে পারবে।

সমীর ও সেঁজুতিকে তাদের কাজের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বিল গেটস লেখেন, বাংলাদেশ এমন এক ভবিষ্যতে এগিয়ে যাচ্ছে, যেখানে চিকিৎসার জন্য খালি থাকবে হাসপাতালের শয্যা।

বাংলাদেশ বাংলাদেশি স্বাস্থ্য গবেষক বিল গেটস শিশুমৃত্যু সমীর সাহা সেঁজুতি সাহা স্বাস্থ্যসেবা

বিজ্ঞাপন

বরিশালে এনসিপির পদযাত্রা
১৬ জুলাই ২০২৫ ০১:৪৩

আরো

সম্পর্কিত খবর