‘সবসময় শিক্ষাকে নিয়েই এগিয়ে যেতে চেয়েছেন ফজলে হাসান আবেদ’
১৬ জানুয়ারি ২০২০ ২১:৩৩
বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত স্যার ফজলে হাসান আবেদের জীবন দর্শনের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল শিক্ষা। তিনি মানুষের জীবনকে এগিয়ে নিতে চেয়েছেন। এর জন্য শিক্ষাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতেন তিনি। তার দর্শনই ছিল শিক্ষাকে এগিয়ে নেওয়া।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। শিক্ষায় স্যার ফজলে হাসান আবেদের চিন্তা, আদর্শ ও কৃতি বিষয়ক এই আলোচনা সভা আয়োজন করে জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক ফাউন্ডেশন।
আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান, প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রথম উপ-উপাচার্য ড. সালেহউদ্দীন আহমেদ। প্যানেলিস্ট হিসেবে ব্র্যাক গভর্নিং বডির চেয়ারপারসন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ড. মনজুর আহমেদ এবং গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী আলোচনায় অংশ নেন।
আলোচনায় ড. হোসেন জিল্লুর বলেন, মানুষকে কেন্দ্রে রেখে উন্নয়ন চিন্তা করতেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ। শিক্ষার বহুমাত্রিকতাকে ধারণ করে কাজ করে গেছেন তিনি। চলে যাওয়ার পরও আবেদ ভাই প্রাসঙ্গিক, আমরা তার দেখানো পথে কাজ করে যাব।
রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, আবেদ ভাই অত্যন্ত দূরদর্শী ছিলেন। যেকোনো সমস্যা সমাধানে তিনি গবেষণাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতেন। স্যার আবেদের সঙ্গে সাক্ষাতের স্মৃতি স্মরণ করে তিনি বলেন, আবেদ ভাই শেষ বিদায়ের আগে বলেছিলেন, শিক্ষায় অনেক চ্যালেঞ্জ আছে, হাল ছেড়ো না। মৃত্যুপথযাত্রী একজন ব্যাক্তি মৃত্যুযন্ত্রণা নিয়ে কথা না বলে শিক্ষার উন্নয়নে কথা বলেছেন। এ থেকেই বোঝা যায়, তিনি শিক্ষাকে কতটা গুরুত্ব দিতেন।
ড. মনজুর আহমেদ বলেন, স্যার ফজলে হাসান আবেদের কর্মপরিধি ব্যাপক। কিন্তু তার দর্শন ছিল শিক্ষাকে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।
ড. সালেহউদ্দীন আহমেদ বলেন, সবসময় মানুষের কথা শুনতেন আবেদ ভাই। সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতেন শিক্ষার উন্নয়নকে।
অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, সবচেয়ে বেশি সময় ধরে টিকে থেকে পরিবর্তনে ভূমিকা রাখা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম— এ ধারণায় বিশ্বাস রাখতেন ফজলে হাসান আবেদ। সেই ধারণা থেকেই তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, ফজলে হাসান আবেদ মানুষের জীবনে পরিবর্তন চেয়েছেন। সেই পরিবর্তন ছিল মানুষের জীবনমানে গুণগত পরিবর্তন। যা করতে চেয়েছেন, তিনি তা করেছেন। শুধু স্বপ্ন দেখেই থেমে যাননি, বাস্তবায়নের জন্য জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কাজ করে গেছেন।
জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক ফাউন্ডেশন ফজলে হাসান আবেদ স্যার ফজলে হাসান আবেদ