ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনের তারিখ নিয়ে চট্টগ্রামেও প্রতিবাদ
১৭ জানুয়ারি ২০২০ ২১:৪৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: সরস্বতী পূজার দিনে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে প্রতিবাদ করেছেন চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারাও নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এই প্রতিবাদ জানানো হয়। এতে সংহতি জানিয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা এবং জনপ্রতিনিধিরাও বক্তব্য রাখেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উপ দফতর সম্পাদক এবং সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী মানববন্ধনে বলেন, ‘১৯৭২ সালের সংবিধানের চারটি মূল ভিত্তির একটি ধর্মনিরপেক্ষতা। ১৯৭৭ সালে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা মুছে দেন। ২০১০ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত ধর্মনিরপেক্ষতাকে সংবিধানে একটি মূল মতবাদ হিসেবে পুনঃস্থাপন করেন। নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচনের তারিখ নিয়ে যে জটিলতা তৈরি করেছে, এর সমাধান নির্বাচন কমিশনকেই করতে হবে।’
ভোটের তারিখ পুনর্বিবেচনা করুন: ঢাবি উপাচার্য
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। নির্বাচন কমিশনের সচিব বলেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৭টি প্রতিষ্ঠানে এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মাত্র ২৬টি প্রতিষ্ঠানে পূজা হয়, যা মোট কেন্দ্রের সোয়া ২ শতাংশ। উনার এই মন্তব্য জঘন্য সাম্প্রদায়িক মন্তব্য বলে আমরা মনে করি। আমরা তার এই বক্তব্য প্রত্যাহার দাবি করছি। একইসঙ্গে নির্বাচনের তারিখ পুনরায় ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।’
মানবন্ধনে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, নগর পূজা উদযাপন পরিষদের নেতা বিকাশ দাশও বক্তব্য রাখেন।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সাইন্সেস ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী পায়েল দত্তের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষার্থী ইবনে মিজান রুবেল, শাহাদাত আলম শাওন, শান্তনু দেওয়ানজী, সৈকত বিশ্বাস, লক্ষণ দাশ, অন্তর দাশ, ইসমাইল হোসেন, বিশ্বজিৎ শর্মা, লিটন দেবনাথ, রিকু আইচ, সাজ্জাদুল ইসলাম সোহাগ, রিমন দাশ, রিপন কান্তি দাশ, হৃদয় চক্রবর্তী, মো. ইমরান, নোবেল দাশগুপ্ত, শিবু সেন, সজীব দাশ, মো. কুতুব উদ্দিন, মো. বোরহান উদ্দিন, মীর মোহাম্মদ রবি, মিঠুন সরকার, মো. আবদুল মান্নান, রিয়েল খান এবং শুভ্রদেব বর্মণ।