অনিশ্চয়তায় চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
১৮ জানুয়ারি ২০২০ ০৮:৪০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: বন্দরনগরীতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নির্মাণাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাজ বন্দর ও পুলিশের আপত্তির মুখে পড়ে থমকে গেছে। বন্দরের আপত্তির মুখে সিডিএ নকশা সংশোধন করে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পথ পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে মারাত্মক যানজটের আশঙ্কায় বিকল্প পথ তৈরি না করে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ করার ক্ষেত্রে জোরালো আপত্তি আছে পুলিশের। এমনকি সিডিএর অভিযোগ, পুলিশ তাদের কাজে বাধা দিচ্ছে। এই অবস্থায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে আছেন খোদ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরাই। এছাড়া ব্যয় বেড়ে যাবার আশঙ্কাও করছেন তারা।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বাস্তবায়ন নিয়ে এই জটিলতার জন্য নগর পরিকল্পনাবিদ, এমনকি সিডিএর কর্মকর্তারাও দুষছেন সংস্থাটির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামকে। প্রকল্প নেওয়ার সময় সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় না করে তৎকালীন চেয়ারম্যান একক ইচ্ছায় কাজ এগিয়ে নেন এবং এর ফলে এই জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে তারা মনে করছেন।
জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক ও সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর নিরাপত্তাজনিত কারণে আপত্তি দিয়েছিল। আমরা উনাদের নিয়েই সেটা সংশোধন করেছি। বন্দরের আপত্তি নিয়ে এখন আর কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা হচ্ছে পুলিশকে নিয়ে। আমরা যেখানেই কাজ শুরু করতে যাচ্ছি, সেখানেই তারা বাধা দিচ্ছে। মূলত তাদের বাধার কারণে আমরা এখন কাজই করতে পারছি না। কাজ শুরু করতে না পারলে মেয়াদের মধ্যে আমরা শেষ করতে পারব না। এতে আমাদের আরও নানা জটিলতায় পড়তে হবে।’
চট্টগ্রাম নগরীর মূল অংশ থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাত্রাপথের দূরত্ব কমাতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সিডিএ। মূলত সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের ইচ্ছায় এই প্রকল্প নেওয়া হয়। ২০১৭ সালের ১১ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। ব্যয় ধরা হয় ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স-র্যাঙ্কিনকে।
অনুমোদনের প্রায় দেড় বছর পর ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিলার পাইলিং কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে নগরের সিমেন্টক্রসিং থেকে কাঠগড় পর্যন্ত প্রায় ৬০টি পিলারের পাইলিংয়ের কাজ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিডিএ কর্মকর্তারা।
প্রকল্পের কাজ শুরুর আট মাসের মাথায় এসে নিরাপত্তা এবং পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির আশঙ্কায় তীব্র আপত্তি তোলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখার তাগিদ দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ চিঠি দেয় সিডিএকে। এর ফলে প্রথম দফা বাধার মুখে পড়ে সিডিএ।
চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ বলেন, ‘আমরা বাধা দিচ্ছি না, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হোক। শুধু বলছি, ট্রাক চলাচলে যাতে বাধা সৃষ্টি না হয়। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হওয়ার পর নিচে রাস্তা কতটুকু থাকবে, সেটা আমরা জানতে চেয়েছিলাম। আমরা সিডিএর কাছে লে-আউট চেয়েছিলাম। দেওয়ার পর অলরেডি এটা আমরা অ্যাপ্রুভ করেছি। এখন উনাদের দায়িত্ব উনারা কাজটা কত দ্রুত শুরু করবেন।’
প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের যে নকশা করেছিলাম, সেটা সল্টগোলা থেকে কাস্টমস মোড় পর্যন্ত বন্দর ঘেঁষে রাস্তার ওপর ছিল। বন্দর বলছে, এভাবে করলে তাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। এছাড়া বন্দরের জেটিগেইট দিয়ে যেসব কনটেইনারবাহী ও পণ্যবাহী বড় যানবাহন আসা-যাওয়া করে সেগুলো চলাচলে বাধা সৃষ্টি হবে। উনাদের আপত্তি মেনে আমরা সংশোধিত নকশা করেছি। আমরা এটা বন্দর সংলগ্ন এলাকায় না রেখে ৩০ মিটার সরিয়ে নিচ্ছি। এখন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হবে বন্দরের টোলরোডের ওপর যে ফ্লাইওভার আছে সেটা ক্রস করে বন্দর আবাসিক এলাকার ভেতর দিয়ে।’
‘আমরা নকশা বন্দরকে দিয়েছি। তারা আমাদের বিনামূল্যে জমি দিচ্ছে। কিছু ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিও অধিগ্রহণ করতে হবে। সেগুলোর তালিকা আমরা করছি। শীঘ্রই অধিগ্রহণ শুরু হবে। সময় একটু বেশি লাগলেও বন্দরের আপত্তিটা আমরা সুন্দরভাবে সমাধান করেছি। বন্দর কর্তৃপক্ষও খুবই খুশি।’
সিডিএ’র নগর পরিকল্পনাবিদ শাহীনুল ইসলাম খান সারাবাংলাকে বলেন, ‘বন্দর হচ্ছে একটা বিশেষায়িত সংস্থা। তাদের নিরাপত্তার ইস্যুটা ডিফিকাল্ট। তারা যেভাবে চাচ্ছেন, সেভাবেই ডিজাইনটা সংশোধন করা হয়েছে। অর্থাৎ আগের নকশা থেকে এক্সপ্রেসওয়ে ডানদিকে সরানো হয়েছে।’
চট্টগ্রাম বন্দরের আপত্তি সমাধানের পদক্ষেপের মধ্যেই আরও জোরালো আপত্তি এসেছে নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের কাছ থেকে। পুলিশের দাবি, আগ্রাবাদ থেকে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত একমুখী সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ হাজার বড় যানবাহন চলাচল করে। মূল সড়কের সঙ্গে লাগোয়া দুটি সড়ক আছে যেগুলো দিয়ে বড় যানবাহন নগরী থেকে বের হতে পারে। এর মধ্যে পোর্ট কানেক্টিং রোডের সম্প্রসারণ ও সংস্কার কাজ চলছে। সেই সড়ক দিয়ে বড় যানবাহন চলাচল এখন প্রায় বন্ধ আছে। পতেঙ্গা থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত সাগর উপকূলে নির্মাণাধীণ আউটার রিং রোডের কাজও এখনো শেষ করতে পারেনি সিডিএ। আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের কাজও শেষ করতে পারেনি সিটি করপোরেশন। সেই সড়ক দিয়েও মূল শহরে যানবাহন প্রবেশের সুযোগ নেই।
শাহ আমানত বিমানবন্দরের পথে সিইপিজেড, কর্ণফুলী ইপিজেড, কয়েকটি কনটেইনার ইয়ার্ডসহ বেশ কয়েকটি বড় বড় বাণিজ্যিক স্থাপনা আছে, যেখানে দিনভর বড় বড় যানবাহন আসা-যাওয়া করে। এখন মূল সড়কও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে চট্টগ্রাম নগরীর যানজট আর ঠেকানো যাবে না। ভয়াবহ যানজটে অচল হয়ে পড়বে চট্টগ্রাম নগরী।
জানতে চাইলে নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের বন্দর জোনের উপ-কমিশনার তারেক আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘সিডিএ কাজ শুরুর আগে পুলিশের সঙ্গে কথা বলা হয়নি। এত গুরুত্বপূর্ণ একটা সড়ক, দেশের আমদানি-রফতানির মূল কাজ যে সড়কের ওপর নির্ভরশীল, সেটা ব্যবহার করার আগে তো আমাদের অবহিত করা উচিৎ ছিল। সিডিএ তো কাঠগড় দিয়ে কাজ শুরু করেছে, সেখানে যানজট সামলাতেই আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। সেজন্য আমরা বলেছি, বিকল্প পথ তৈরি করতে, তারপর সল্টগোলা থেকে আগ্রাবাদ পর্যন্ত কাজ শুরু করতে। না হলে, বড় বড় যানবাহনগুলো বন্দরে আসবে-যাবে কিভাবে ? ৪-৫ ঘন্টা কিংবা তার চেয়েও বেশি যানজটে আটকে থাকতে হবে।’
প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা বলেছি, নিমতলার পর থেকে বড় যানবাহনগুলো আউটার রিং রোড এবং পোর্ট কানেক্টিং রোড দিয়ে বের করে দেয়া যাবে। আউটার রিং রোডের কাজ তো অলমোস্ট শেষ হয়ে গেছে। এরপরও পুলিশ আপত্তি জানাচ্ছে। ১৬ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ের মধ্যে আমরা মাত্র পাঁচ কিলোমিটারের কাজ করেছি, তা-ও পুরোপুরি নয়। এভাবে বাধা এলে আমরা কাজ করব কিভাবে?’
উপ পুলিশ কমিশনার তারেক আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘সিডিএ আমাদের এবং বন্দরের কর্মকর্তাদের আউটার রিং রোডে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে দেখলাম, আউটার রিং রোড এখনও গাড়ি চলাচলের উপযোগী নয়। এখনও কাঁচা মাটি আছে। সেই রোড দিয়ে লং ভেহিক্যালগুলো কোনোভাবেই চলতে পারবে না। এরপর পোর্ট কানেক্টিং রোড, সেটাতেও কাজ চলছে। সেখান দিয়ে যদি আমরা গাড়ি ছেড়ে দিই, সেগুলো সব মূল শহরে ঢুকে পড়বে। তখন শহরজুড়ে যানজট হবে আর দোষটা পড়বে পুলিশের ওপর। এরপরও আমরা বাধা দিচ্ছি না। এটা উন্নয়ন প্রকল্প, বাধা দেওয়ার কিছু নেই। আমরা জানতে চেয়েছি, আউটার রিং রোডের কাজ কবে শেষ হবে। সিডিএ বলছে, একমাস লাগবে। আমরা বলেছি, একমাস পর এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হোক।’
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি ছিল নগর পরিকল্পনাবিদদের। স্থপতি জেরিনা হোসাইনের মতে, বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরীতে সড়কের যে সক্ষমতা আছে, অব্যবস্থাপনার জন্য সেটার শতভাগ ব্যবহার হচ্ছে না। সঠিক বিকল্প বিবেচনা না করে মাত্র ২০০ জন শিল্পদ্যোক্তার বা সিআইপি-ভিআইপির জন্য ২৮০০ কোটি টাকার এক্সপ্রেসওয়ে বানানো হচ্ছে। সিআইপি-ভিআইপিরা মোট জনসংখ্যার শূন্য দশমিক ০০৩৩ শতাংশ। ২০১৬ সালের পরিসংখ্যন অনুযায়ী দৈনিক বিমানযাত্রী ৩৪৭২ জন। সেই বিবেচনায় এই বিনিয়োগ যৌক্তিক নয়।
নগর পরিকল্পনাবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের আপত্তি উপেক্ষা করে নেওয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে অস্বস্ত্বি আছে খোদ সিডিএর কর্মকর্তাদের মধ্যেই। বিশেষত তারা দায়ী করছেন সিডিএর ইতিহাসে প্রথম রাজনৈতিকভাবে নিয়োগ পাওয়া চেয়ারম্যান নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালামকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিডিএর এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিমানবন্দরের আশপাশে সিডিএ কোনো ভবনের অনুমোদন দেওয়ার সময় বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে। কারণ নিরাপত্তার বিষয় থাকে। বন্দরও একইভাবে নিরাপত্তা ইস্যুতে স্পর্শকাতর স্থাপনা। তাদের সামনে দিয়ে এতবড় একটা স্থাপনা করার পরিকল্পনায় বন্দরকে যুক্ত করা হয়নি। এটা ছিল প্রথম ভুল। আমরা জানি, চট্টগ্রাম শহরের মূল সড়ক একটাই। সেই সড়ককে কোনো নির্মাণকাজের জন্য ব্যবহার করতে চাইলে যানবাহনগুলো কোন সড়ক দিয়ে যাবে, সেটা তো বিবেচনায় নেওয়া দরকার ছিল। এ ব্যাপারে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করা দরকার ছিল। কিন্তু সেসময়কার চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম সাহেব কারও মতামতের তোয়াক্কা করতেন না।’
প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় হয়নি সেটা ঠিক। তবে আমরা বন্দরের সঙ্গে বসেছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বন্দরের প্রতিনিধিসহ ছয়বার বৈঠক হয়েছে। তখন তারা কোনো আপত্তি দেয়নি। কাজ শুরুর পর আপত্তি দিয়েছে।’
জানতে চাইলে সিডিএর বর্তমান চেয়ারম্যান নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জহিরুল আলম দোভাষ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি তো পরে জয়েন করেছি। এটা যখন প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হচ্ছিল, তখন বন্দর এবং পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করা দরকার ছিল। আমি নথিপত্রে যেটা দেখেছি, শুরুতে বন্দরের সঙ্গে কথা হয়েছিল। কিন্তু মাঝপথে এসে বন্দরের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা হয়নি। তখন যদি বন্দর এবং পুলিশের মতামত শুনে পরিকল্পনা করা হত, তাহলে এখন এই জটিলতায় পড়তে হত না। যা হোক, আমরা চেষ্টা করছি, জটিলতা সমাধান করে কাজটা আবার শুরু করে দিতে। কিন্তু খরচ বেড়ে যাবে।’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য আবদুচ ছালামকে ফোন করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন জানিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এরপর আবারও ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
সিডিএ সূত্র জানায়, ২০২০ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। এখন ২০২৩ সালের জুনে শেষ হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ৯টি এলাকায় ২৪টি র্যাম্প (গাড়ি ওঠানামার পথ) থাকবে। নগরীর টাইগারপাসে চারটি, আগ্রাবাদে চারটি, বারিক বিল্ডিং মোড়ে দুটি, নিমতলী মোড়ে দুটি, কাস্টমস মোড়ে দুটি, সিইপিজেডে চারটি, কেইপিজেডে দুটি, কাঠগড়ে দুটি, পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় দুটি র্যাম্প থাকবে। চার লেনের এই এক্সপ্রেসওয়ের প্রশস্ততা হবে ৫৪ ফুট। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ এক্সপ্রেসওয়ে র্যাম্প ও লুপসহ এটির দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ২০ কিলোমিটার।
চার ধাপের মধ্যে প্রথম ধাপে লালখান বাজার থেকে বারিক বিল্ডিং, দ্বিতীয় ধাপে বারিকবিল্ডিং মোড় থেকে সল্টগোলা ক্রসিং, তৃতীয় ধাপে সল্টগোলা থেকে সিমেন্টক্রসিং, চতুর্থ ধাপে সিমেন্টক্রসিং থেকে সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত কাজ হওয়ার কথা ছিল।