অর্থের অভাবে মেধাবীরা যেন ঝরে না যায়: আইনমন্ত্রী
১৮ জানুয়ারি ২০২০ ১৭:৫১
ঢাকা: মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা যেন অর্থের অভাবে থেমে না যায়— সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এই আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনিসুল হক বলেন, সরকার দেশে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, ধনী-দরিদ্র সবাই যেন সমমানের শিক্ষা ব্যবস্থায় গড়ে ওঠে। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা গেলে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রয়োজন দক্ষ মানবসম্পদ। সে লক্ষ্য পূরণে সরকার কাজ করছে।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞান অর্জন, জ্ঞান চর্চা ও জ্ঞান সৃষ্টির প্রতিষ্ঠান। জীবনে সফল হতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় কাজে লাগাতে হবে। জীবনে সফলতা-স্বপ্ন পূরণে প্রত্যেককে অদম্য ইচ্ছাশক্তির অধিকারী ও অধ্যাবসায়ী হতে হবে। আজকের ছাত্র-ছাত্রীরা আগামী দিনে দেশ পরিচালনা করবে। তাই তাদের ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও সৃজনশীল শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। যেন তারা রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদের প্রস্তুত করতে পারে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় বিদ্যমান বৈষম্য দূর করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এ জন্য ২০১০ সালে গ্রহণযোগ্য একটি শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তিপ্রদান ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেদের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা চালুর জন্য আইনমন্ত্রী নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেদের জন্য বিশেষ সুবিধা চালু করে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ বঙ্গবন্ধু এবং জাতির শ্রেষ্ঠসন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান দেখিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত বেনওয়া প্রেফন্টেন, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা লায়ন বেনজীর আহমেদ।
উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপ-উপচার্য অধ্যাপক ড. এম. ইসমাইল হোসেন, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন বিভাগের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষকমণ্ডলী এবং অভিভাবকরা।