কোনো অবস্থাতেই ইভিএম নয়: ঐক্যফ্রন্ট
১৮ জানুয়ারি ২০২০ ১৭:৩৯
ঢাকা: আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কোনো অবস্থাতেই ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার মেনে নেবে না জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত থেকে অনতিবিলম্বে সরে আসার সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন জোটের শীর্ষ নেতারা।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ‘নসরুল হামিদ’ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তারা। এতে লিখিত বক্তব্য পড়ার পাশাপাশি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন জোটের শীর্ষ নেতা আ স ম আব্দুর রব।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক আবু সাঈদ, নুরুল আমিন বেপারী, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জহির উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, সানোয়ার হোসেন, ঐক্যফ্রন্টের দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে রব বলেন, ‘সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস নেই। সে কারণে সুষ্ঠু ভোট ছাড়াই ক্ষমতা দখল ও ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার নিত্যনতুন কূটকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে। জনগণকে নানাভাবে হয়রানি ভয়-ভীতি সন্ত্রাস ও গ্রেফতারের মাধ্যমে নির্বাচন বিমুখ করা হয়েছে। নির্বাচনে ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে সরকার ও নির্বাচন কমিশন। সেই ফাঁদের একটি হচ্ছে ইভিএম।
ইভিএম বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যে কোনো যন্ত্র বা প্রযুক্তি চলে মানুষের কমান্ডে। কিন্তু যারা কমান্ডে আছে তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ইভিএমের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করবে—একথা বলাই বাহুল্য। ইভিএমে প্রযুক্তি এবং তথ্য পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে মধ্যরাতে ভোটের ধারাবাহিকতায়। এটা হবে আরও একটি জঘন্য দৃষ্টান্ত।’
ইভিএম পদ্ধতি সাংবিধানিকভাবে অগ্রহণযোগ্য দাবি করে রব বলেন, ‘এভাবে ভোট করলে তা পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া পদ্ধতিও ব্যবস্থাকে অশুভ অভিঘাতের দিকে নিয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সংবিধানে নির্বাচন সম্পর্কে প্রকাশ্যে পেপার ব্যালটের কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, ভোটের গোপনীয়তা রক্ষিত হবে। কিন্তু ইভিএমে ভোটের গোপনীয়তা থাকে না। ভোটারদের কাছে কোনো প্রমাণ থাকে না। একটি সত্যিকারের গণতন্ত্রের মৌলিক অধিকার ও সংবিধান লঙ্ঘন। জনগণ সকল ক্ষমতার মালিক। গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনগণ সেই মালিকানা প্রতিষ্ঠা করেন। তারা সুষ্ঠু ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধ নির্বাচন করেন। কিন্ত বর্তমানে দেশে ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে নানাবিধ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে।’