পদ্মায় মূল সেতুর ৮৫.৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন
১৯ জানুয়ারি ২০২০ ১৫:২৪
ঢাকা: মূল পদ্মাসেতুর ৮৫ দশমিক পাঁচ শতাংশ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে ফাস্ট ট্র্যাক মনিটরিং কমিটি। রোববার (১৯ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ফাস্ট ট্র্যাক মনিটরিং কমিটির পঞ্চম সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় পদ্মাসেতুসহ ফাস্ট ট্র্যাকভুক্ত ১০টি প্রকল্পের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া পদ্মা বহুমুখী প্রকল্পের পুরো কাজের ৭৬ দশমিক ৫০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে সভায় জানানো হয়, সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় জাজিরা প্রান্তে অ্যাপ্রোচ রোডের কাজ ৯১ভাগ, মাওয়া প্রান্তে অ্যাপ্রোচ রোডের কাজ শতভাগ, সার্ভিস এরিয়া-২-এর কাজ শতভাগ, মূল সেতুর নির্মাণ কাজ ৮৫ দশমিক ৫০ ভাগ ও নদীশাসনের কাজ ৬৬ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি সম্পন্ন হয়েছে ৭৬ দশমিক ৫০ ভাগ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফাস্ট ট্র্যাক প্রজেক্টের প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন।
পদ্মাসেতুর কাজের অগ্রগতির জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘পদ্মাসেতু নিয়ে অনেক ঝামেলা গেছে আপনারা জানেন। আমরা আনন্দিত অর্ধেকের বেশি হয়ে গেছে। প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটারের মতো বোধহয় হয়ে গেছে।’
সভায় ফাস্ট ট্র্যাকভুক্ত অন্য প্রকল্পগুলোর অগ্রগতিও তুলে ধরা হয় প্রধানমন্ত্রীর সামনে। প্রকল্পগুলোর অগ্রগতির জন্য প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ দেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
দেশের যেকোনো নদীতে সেতু নির্মাণের আগে সেই নদীর চরিত্র সম্পর্কে জানার নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নদীতে ব্রিজ বা কোনো কিছু করতে গেলে আমাদের কিন্তু নদীর চরিত্রটা কেমন, বর্ষাকালে কী রূপ ধারণ করে, শীতকালে কী রূপ ধারণ করে, এগুলো জেনে নিয়ে করা উচিত।’
‘নদীকে শাসন করতে গেলে সে শাসন সে মানবে না। সব নদী সব শাসন মানে না। সেটা মাথায় রেখে আমাদের কাজ করতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে পদ্মা নদীর কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই সেতুটা করার সময় নদী শাসন করে আমি কিন্তু নদী ছোট করতে দেইনি। পদ্মা নদীর চরিত্র সম্পর্কের কারো জানা নেই। এই নদীটা অসম্ভব ভাঙনপ্রবণ। এখানে বাঁধ দিয়ে ছোট করতে গেলে এই নদী মানবে না। আমাদের ব্রিজটাই বড় করতে হবে। এখানে জায়গাও রাখতে হবে বাপার জোনও থাকবে। যাতে বন্যার পানিটা ধারণ করতে পারে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী, মন্ত্রী পরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট সচিব ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।