রুপন ফের ৫ দিনের রিমান্ডে
১৯ জানুয়ারি ২০২০ ১৬:৩৩
ঢাকা: ক্যাসিনোকাণ্ডে গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়ার ফের পাচঁ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন। সেইসঙ্গে আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনুর গ্রেফতার দেখানোর আবেদনও মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় রুপনকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদনসহ সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। এছাড়া এনামুল হককে এনু শুধু গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হয়। আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
গত ১৪ জানুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পৃথক দুই মামলায় উভয় আসামির চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে ১৩ জানুয়ারি ভোরে ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত থাকায় এনু-রুপনকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২২টি জমির দলিল, পাঁচটি গাড়ির কাগজপত্র ও ৯১টি ব্যাংক হিসাবে ১৯ কোটি টাকা থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়াও তাদের কাছ থেকে নগদ ৪০ লাখ টাকা ও ১২টি মোবাইল জব্দ করা হয়।
মামলার এজাহারে সূত্রে জানা গেছে, এনামুলের আয়কর নথি, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ও গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তার বৈধ আয়ের কোনো উৎস নেই। সে ক্যাসিনো ব্যবসাসহ অবৈধ উপায়ে আয় করা অর্থ দিয়ে প্রচুর সম্পদ অর্জন করেছে। এসব তার আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। সে অবৈধ আয়ের মাধ্যমে দেশে–বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে দুদকের কাছে তথ্য আছে।
এছাড়া এনামুলের ভাই রুপন ভূঁইয়ার মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, রূপন ভূঁইয়া অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে নামে-বেনামে ১৪ কোটি ১২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।
এদিকে এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়ার ৩৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পাওয়ার পর দুদক দুটি মামলা করেছে। ২৩ অক্টোবর সংস্থাটির ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা দুটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশিদ চৌধুরী ও মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী। এই দুই ভাইয়ের বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার জব্দ করার এক মাস পর ওই মামলা করে দুদক। এর আগে র্যাব তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, বিশেষ ক্ষমতা আইন ও অস্ত্র আইনে তিন থানায় সাতটি মামলা করে।