Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিশ্বে লাগামছাড়া অর্থনৈতিক নীতিতে বৈষম্য বাড়ছে: অক্সফাম


২০ জানুয়ারি ২০২০ ১৩:৪৯

বিশ্বে লাগামছাড়া অর্থনৈতিক নীতির কারণে অসমতা বাড়ছে। বৈষম্যমূলক নীতির কারণে বিশ্বজুড়ে ২ হাজার ১৫৩ জন সম্পদশালী ব্যক্তির হাতে যে পরিমাণ সম্পদ রয়েছে তা ৪শ ৬০ কোটি মানুষের সম্পদের চেয়েও বেশি। এছাড়া বিশ্ব অর্থনীতিতে বিশাল অর্থমূল্য যোগ করলেও নারীদের ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ কম। আন্তর্জাতিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান অক্সফামের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য প্রকাশ করা হয়।

সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামে সোমবার (২০ জানুয়ারি) অক্সফামের এক প্রতিনিধি সম্মেলনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, ২ হাজার ১৫৩ জনের সম্পদের পরিমাণ বিশ্বের ৬০ শতাংশ মানুষের মোট সম্পদের চেয়ে বেশি। এমন অবস্থা ঠেকাতে অর্থনৈতিক নীতিতে সমতা ও ন্যায্যতাকে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে অক্সফাম। ধনীদের ওপর আরও বেশি কর আরোপেরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

‘টাইম টু কেয়ার’ শিরোনামে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদ্যমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় নারীদের শ্রমের সঠিক মূল্যায়ন হয় না। নারীরা প্রতিদিন মোট ১ হাজার ২৫০ কোটি ঘণ্টা মজুরিহীন শ্রম দিচ্ছেন। স্বীকৃতিহীন এসব শ্রমের কারণে প্রযুক্তিশিল্পের চেয়ে তিনগুণ বেশি অর্থনৈতিক মূল্য যুক্ত হয়। নারীরা তাদের মজুরিহীন শ্রম দিয়ে প্রতিবছর ১০ লাখ ৮০ হাজার কোটি ডলার অর্থমূল্য যোগ করছেন বিশ্ব অর্থনীতিতে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পুরুষরা নারীদের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি সম্পদের মালিক। বৈষম্যমূলক নীতির কারণে বিশ্বে মাত্র ২২ জন পুরুষ ৩২ কোটি ৬০ লাখ নারীর মোট সম্পদের চেয়েও বেশি সম্পদ আরোহণ করেছেন। বিশ্ব অর্থনৈতিক নীতি পুরুষদের পুরস্কৃত করছে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনটিতে। এর কারণ হিসেবে নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে নারীদের কম অংশগ্রহণকে দায়ী করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এতে বলা হয়, বিশ্বে বিভিন্ন দেশের সরকারগুলোতে গড়ে মাত্র ১৮ শতাংশ নারী মন্ত্রীসভায় রয়েছেন। আর সংসদে রয়েছেন মাত্র ২৪ শতাংশ নারী। এসব কারণে নীতি প্রণয়নে নারী-পুরুষের মধ্যে অসমতা বাড়ছে।

এছাড়াও প্রতিবেদনটিতে শ্রমিকদের প্রতি বৈষম্যমূলক অর্থনৈতিক নীতির সমালোচনা করা হয়। এতে বলা হয়, ফোবর্সের তথ্যমতে ই-কমার্স সাইট অ্যামাজনের মালিক জেফ বোজেস এখন পৃথিবীর এক নম্বর ধনী। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১১৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া ফ্রান্সের বার্নার্ড আর্নল্টের রয়েছে ১১৬ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু বিপরীতে মিশরে পিরামিড তৈরির আমল থেকে যদি একজন শ্রমিক প্রতিদিন ১০ হাজার ডলার করেও সঞ্চয় করেন তবে আজকের দিনে এসে তার সম্পদ পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী পাঁচজনের সম্পদের চেয়ে ৮০ শতাংশ কম হবে।

এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রানের উপায় হিসেবে দেশে দেশে ন্যায্য সমতার অর্থনৈতিক নীতি প্রণয়নে গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ দিয়েছে অক্সফাম। বিশেষ করে ধনীদের ওপর ট্যাক্স বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

অক্সফাম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর