ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য কমাতে নারী প্রগতি সংঘের ৮ প্রস্তাব
২০ জানুয়ারি ২০২০ ১৫:০৪
ঢাবি: বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য কমাতে ৮টি প্রস্তাব জানিয়েছে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ। সোমবার (২০ জানুয়ারি) জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘বৈষম্যহীন দক্ষিণ এশিয়া গড়ে তুলতে সবাই ঐক্যবদ্ধ হই’ শীর্ষক এক মানববন্ধন থেকে এসব প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
সাউথ এশিয়ান অ্যালায়েন্স ফর প্রোভার্টি ইরাডিকেশন (স্যাপি) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের উদ্যাগে আয়োজিত মানববন্ধনে দেওয়া আটটি প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- মজুরি বৈষম্য কমানো, নারীর প্রতি বৈষম্য কমানো, দেশীয় কর রাজস্ব সচল করা এবং ধনী ব্যক্তি ও কোম্পানির প্রতি অন্যায্য কর ছাড় বন্ধ করা, ধনী ব্যক্তি ও কোম্পানির ন্যায্য ভাগ পরিশোধ করা; জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন পুনরুজ্জীবিত করার জন্য বিনিয়োগ করা, দায়িত্বশীল রাষ্ট্র গড়ে তোলা এবং সবার জন্য সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
এছাড়াও নারী ও ক্ষুদ্র কৃষকের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত এবং কৃষি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রাধান্য খর্ব করাসহ খাদ্যের ভ্যালু চেইনের শোষণ থেকে নারী ও ক্ষুদ্র কৃষককে রক্ষা করা, ক্ষতিগ্রস্ত/আক্রান্ত জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে জলবায়ু বিপর্যয় রোধ করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে নারী প্রগতি সংঘের পক্ষ থেকে।
সাউথ এশিয়া অ্যালায়েন্স ফর প্রোভার্টি ইরাডিকেশনের (স্যাপি) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবিরের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিএমএ- এর সাবেক সভাপতি ডা. রশিদ-ই-মাহবুব, শিশু সংগঠক ও কেন্দ্রীয় খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক ডা. লেলিন চৌধুরী, আইইডি’র নির্বাহী পরিচালক নূমান আহমেদ খান।
মানববন্ধনে রোকেয়া কবির বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার জনগোষ্ঠী জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার। এই বৈষম্যগুলো সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক কারনেই সৃষ্টি হয়েছে এবং দক্ষিণ এশিয়ার জনগণ ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের মতো ফোরামগুলো দেশগুলোর স্বার্থ রক্ষা করে চলছে। আমরা এ ধরনের অর্থনৈতিক আলোচনাকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য দাঁড়িয়েছি। আমরা একটি মহৎ একটি বৃহৎ সমতা ভিত্তিক বিশ্ব নির্মাণে একত্রে দাঁড়িয়েছি, যেখানে সব মানুষের অধিকার ও সমমর্যাদা সুরক্ষিত হবে।’
বিএমএ’র সাবেক সভাপতি ডা. রশিদ-ই-মাহবুব বলেন, ‘যে সিস্টেমে ক্ষমতাশীলদের শক্তিশালী করে আর জনগণের প্রতি বৈষম্য সৃষ্টি করে আমরা সেই সিস্টেমের বিরুদ্ধে একসঙ্গে দাঁড়িয়েছি। আমরা একটি নতুন অর্থনৈতিক মডেল চাই, যেখানে মানুষের অর্থনৈতিক সুবিধা, শান্তি এবং গণতন্ত্র পুননির্মাণ করবে এবং একটি অধিকতর বিশ্ব ব্যবস্থা তৈরি করবে।’
মানববন্ধনে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের এবং অন্যান্য বিশ্বের সরকারগুলোকে ধনী এবং দরিদ্রদের মধ্যে ব্যবধান কমানের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান বক্তারা।