স্কুলছাত্র হত্যা: স্বামী-স্ত্রীসহ ৪ জনের ফাঁসি
২০ জানুয়ারি ২০২০ ১৬:৪৭
ঢাকা: কামরাঙ্গীরচরে চয়ন একাডেমির অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী কাউসার হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় স্বামী-স্ত্রীসহ চারজনের ফাঁসির রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকাম ৭ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. নজরুল ইসলাম এ আদেশ দেন। এদিন তিন আসামির উপস্থিততে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আলতাফ হোসেন ও তার স্ত্রী ফরিদা, জামির আলী এবং শাহজাহান। এদের মধ্যে জামির পলাতক রয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৬ মে সকাল থেকে ১৭ মে বিকেলের যেকোনো সময় তারা টাকার জন্য ভিকটিম কাউসারকে অপহরণ করে। পরে তাকে আলতাফ ও ফরিদার বাসায় খাটের নিচে আটকে রাখে। এরপর কাউসারের বাবার কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চায় তারা। এক পর্যায়ে পরিবারের লোকজন ১৯ মে নবাবগঞ্জে অপহরণকারীদের হাতে মুক্তিপণের টাকা তুলে দেয়। কিন্তু অপহরণকারীরা কাউসারকে ফেরত দেয়নি। এ ঘটনায় কাউসারের পরিবার প্রথমে কামরাঙ্গীরচর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। পরে ২৬ মে এ ঘটনায় অপহরণের মামলাটি করা হয়। মামলাটি দায়ের পর মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশে তদন্তের জন্য স্থানান্তর করা হয়।
এ মামলায় প্রথম দিকে কয়েকজনকে গ্রেফতার করলেও পরে তারা জামিনে মুক্তি পায়। এরপর অপহরণকারীরা ইব্রাহিমের কাছে আরও এক লাখ টাকা দাবি করে। এর মধ্যে আসামি মো. জামিরকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আলতাফ, তার স্ত্রী ফরিদা ও শাহজাহানকে গ্রেফতার করে ডিবি। তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী প্রায় তিন মাস পর ১৮ আগস্ট দুপুরে কাউসারের বাসার সীমানা প্রাচীরের কাছে মাটি খুঁড়ে তার দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়। দেহাবশেষের সঙ্গে জিনস প্যান্ট ও গেঞ্জি দেখে সেটা কাউসারের বলে শনাক্ত করেন স্বজনেরা।
পরে গ্রেফতার হওয়া আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানায়, অপহরণের পরপরই চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগে কাউসারকে অচেতন করা হয়। পরদিন বিকেলে চেতনা ফিরে এলে আবারও তাকে চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। রাতে সে জেগে উঠলে জামির ও ফরিদা তার পা চেপে ধরে এবং আলতাফ বুকের ওপর বসে। পরে শাহজাহান তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। অপহরণের পরদিন ১৭ মে রাতেই কাউসারকে শ্বাসরোধে হত্যা করে আসামিরা।