Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিএমডিসির অনুমোদন ছাড়া ডাক্তারদের নামে বিশেষ পদবি নয়: হাইকোর্ট


২০ জানুয়ারি ২০২০ ২০:২১

ঢাকা: বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি)  নিবন্ধন ও অনুমোদন ছাড়া ডাক্তারদের নামের আগে পদবি ও শিক্ষাগত যোগ্যতা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে দেশের সব অনুমোদন ও মানহীন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করতে বিবাদীদের ব্যর্থতাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার (২০ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, বিএমডিসির সভাপতি, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. জে আর খান রবিন। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট শাম্মি আক্তার।

এর আগে, গত ৪ ডিসেম্বর এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে স্বাস্থ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ছয় জনকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন রিটকারী।

আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন বলেন, দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিশনার অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) অধ্যাদেশ, ১৯৮২-এর ৮ ধারা অনুযায়ী, লাইসেন্স ছাড়া কোনো প্রাইভেট ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। ৯ ধারা অনুযায়ী শর্তাবলী পূরণ না হলে কর্তৃপক্ষ কোনো প্রাইভেট ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করার অনুমতি দেবে না। এ বিধান থাকা সত্ত্বেও বর্তমানে ব্যাঙের ছাতার মত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে। এর অধিকাংশই অনুমোদনহীন ও মানহীন এবং সেবা দেওয়ার চেয়ে টাকা উপার্জনই মালিকদের প্রধান উদ্দেশ্য। আর এ টাকা উপার্জনের মানসিকতায় অনেক সাধারণ মানুষ অপচিকিৎসার শিকার হন।

তিনি বলেন, সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো— অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিয়মনীতি না মেনে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচার করানো হয়। এ কারণে অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে যা রিটে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

২০১৬ সালের ২০ জুলাই বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) প্রচারিত সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করে এই আইনজীবী আরও বলেন, নিবন্ধিত চিকিৎসক বা দন্ত চিকিৎসকরা তাদের সাইনবোর্ডে, প্রেসক্রিপশন প্যাড, ভিজিটিং কার্ড ইত্যাদিতে PGT, BHS, FCPS (Part-I), (part-2), MD-(in course), (part-1), (part-2), (থিসিস পর্ব), (last part), course completed (cc), MS-(in course) ছাড়াও দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অর্জিত ফেলোশিপ এবং FRCP, FRHS, FICA, FICS, FAMS, FIAGP ইত্যাদির মতো বিভিন্ন প্রশিক্ষণের নাম উল্লেখ করেন। আদালত এসব ডিগ্রি ও পদবী উল্লেখ না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ এগুলো কোনো স্বীকৃত চিকিৎসা শিক্ষাগত যোগ্যতা নয় এবং বিএমডিসি কর্তৃক স্বীকৃত নয়।

জে আর খান রবিন বলেন, অনেকেই পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন না করেও ‘বিশেষজ্ঞ’ শব্দ ব্যবহার করেন, যা জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণার শামিল, বিএমডিসির আইনের পরিপন্থী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু অনেক চিকিৎসক ওই নির্দেশ অমান্য করে তাদের ভিজিটিং কার্ড, সাইনবোর্ড, প্রেসক্রিপশন প্যাডে এসব প্রশিক্ষণের নাম উল্লেখ করায় সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হন। অনেক ক্ষেত্রে অপচিকিৎসারও শিকার হন, যা কোনোভাবেই কাম্য নয় বলেও জানান তিনি।

ডাক্তারদের ডিগ্রি ডাক্তারদের পদবী পদবী ব্যবহার বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল বিএমডিসি হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর