Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

টাকার বিনিময়ে মাদক বিক্রেতাকে ছেড়ে দিয়ে শাস্তি ২ পুলিশের


২০ জানুয়ারি ২০২০ ১৯:৫৮

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ): পুলিশের বিশেষ অভিযানের নামে চিহ্নিত দুই মাদক কারবারিকে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ভৈরব শহর ফাঁড়ির সহকারী টাউন উপপরিদর্শক (এটি এসআই) মো. আরিফুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে পুলিশ। একই ঘটনায় জড়িত থাকা শহর ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. সেলিমকে ফাঁড়ি থেকে বদলি করা হয়েছে।

২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর দিবাগত মধ্যরাতে মো. সেলিমের নেতৃত্বে ওই অভিযান পরিচালিত হয়। ১১ ডিসেম্বর এ বিষয়ে সংবাদ পরিবেশন করেছিল সারাবাংলা।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- টাকার বিনিময়ে মাদক বিক্রেতাদের ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি

সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপরে কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মাসরুকুর রহমান খালেদ দুই পুলিশের শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মাসরুকুর রহমান জানান, তাদের বিরুদ্ধে লাখ টাকার বিনিময়ে চিহ্নিত মাদক কারবারিদের ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ ছিল। পরে এ অভিযোগ তদন্তের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী এটি এসআই আরিফুল ইসলামকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অন্যদিকে পরিদর্শক মো. সেলিমকে কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল কাঠখাল পুলিশ ফাঁড়িতে বদলি করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয় রোববার (১৯ জানুয়ারি)। তবে সোমবার এই দুই পুলিশের বিরুদ্ধে নেওয়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সংবাদ নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মাসরুকুর রহমান খালেদ।

আরও পড়ুন- মাদক বিক্রেতার কাছে ঘুষ নিয়ে বিভাগীয় তদন্তের মুখে এসআই

বিজ্ঞাপন

পুলিশ সুপার জানান, আগামী বুধবার বা বৃহস্পতিবার নতুন কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে মো. সেলিম ও আরিফুল ইসলামে।

এর আগে, গত ১০ ডিসেম্বর দিবাগত মধ্যরাতে শহরের পঞ্চবটি পুকুরপাড় এলাকায় একাধিক মাদক মামলার আসামি আলমের বাড়িতে বাহিনী নিয়ে অভিযান চালান পুলিশ পরিদর্শক মো. সেলিম। অভিযানে মাদক না পেলেও সেখানে উপস্থিত ব্যক্তিদের আটক করতে চান মো. সেলিম। পরে ১ লাখ টাকায় রফা হয়— সুমী ও আলমকে ছেড়ে দেওয়া হবে, বাকি চারজনকে ৩৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে তোলা হবে। নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে সুমী ও আলমকে ছেড়ে দেন সেলিম। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে সেলিম তড়িঘড়ি করে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে তোলার প্রস্তুতি নেন।

এ ঘটনায় আলম ও সুমী পুরো ঘটনাটি স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান। এ সংবাদ প্রকাশ হলে ১১ ডিসেম্বর রাতেই জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আমিনুর রহমানকে প্রধান করে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে সত্যতা পেয়েই আমিনুর রহমান এটি এসআই আরিফুলকে ক্লোজড ও মো. সেলিমকে বদলির সুপারিশ রেখে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।

এটি এসআই ক্লোজড টাকার বিনিময়ে মাদক বিক্রেতাকে ছেড়ে দেওয়া পুলিশ পরিদর্শককে বদলি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর