Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সক্ষমতা বাড়ছে মৃত্তিকা ইনস্টিটিউটের, পাচ্ছে নতুন ভবনও


২১ জানুয়ারি ২০২০ ০০:০০

ঢাকা: খামারবাড়িতে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের (এসআরডিআই) ভবনটি ষাটের দশকে নির্মিত। শুধু তাই নয়, কুমিল্লা, রাজশাহী ও খুলনায় অবস্থিত সংস্থার আঞ্চলিক গবেষণাগার ভবনগুলোও নির্মিত একই সময়ে। দীর্ঘ ব্যবহারে এসব ভবনের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। কোনো কোনো ভবন ব্যবহারের উপযোগীও নেই। তাছাড়া মৃত্তিকা সম্পদের জরিপ, মাটি ও সার পরীক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রমের আওতা প্রসারিত হওয়ায় ভবনগুলোরও সম্প্রসারণ প্রয়োজন। পাশাপাশি কার্যক্রমের আওতা বেড়ে যাওয়ায় মৃত্তিকা ইনস্টিটিউটের সক্ষমতাও বাড়ানো প্রয়োজন বলে মত কৃষি মন্ত্রণালয়ের।

এর পরিপ্রেক্ষিতেই ‘এসআরডিআই এর ভবন নির্মাণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি (সিসিবিএস)’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে খামারবাড়িতে নতুন ছয় তলা ভবন পাবে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (এসআরডিআই)। এছাড়া রাজশাহী, খুলনা ও কুমিল্লা জেলাতেও নির্মাণ করা হবে একটি করে ছয় তলা ভবন। শুধু তাই নয়, প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যালয়সহ এসআরডিআইয়ের বিভিন্ন কার্যালয়ে আইসিটি ব্যাকবোন তৈরি ও জিআইএস আধুনিকায়ন এবং খুলনা ও বান্দরবানে অবস্থিত দুইটি গবেষণা কেন্দ্রেরও আধুনিকায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এসআরডিআইয়ে বিদ্যমান প্রধান কার্যালয় ভবনটি ষাটের দশকের শেষের দিকে নির্মিত। এটি অপসারণ করে নতুন ভবন নির্মাণ করা যুক্তিসঙ্গত বলে মত দিয়েছে গণপূর্ত অধিদফতর। অন্যদিকে সংস্থার কুমিল্লা, রাজশাহী ও খুলনার আঞ্চলিক গবেষণাগারগুলোকেও পুনঃনির্মাণের পক্ষে মত দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠার পর এসআরডিআই মৃত্তিকা সম্পদ নিয়ে কাজ করে আসছে। গবেষণা করে ফল প্রকাশ করে কৃষকদের জন্য নির্দেশিকা আকারে মাটি ও সার সংক্রান্ত পরামর্শও দেয় সংস্থাটি। এর আগে মৃত্তিকা গবেষণা ও সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে টেকসই ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্দেশ্যকে প্রাধান্য দিয়ে মৃত্তিকা গবেষণা ও গবেষণা সুবিধা জোরদার করতে একটি প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। ২০২২ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে প্রকল্পটি। এর পাশাপাশি বর্তমানে মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা, টেকসই কৃষির উন্নয়নে সুষম সার ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং সর্বোপরি দেশের মৃত্তিকা সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য এসআরডিআইয়ের জনবল ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে সংস্থার জন্য ৩৪৪টি নতুন পদসহ সর্বমোট ১ হাজার ৩৬ জন জনবলের একটি অর্গানোগ্রাম অনুমোদিতও হয়েছে।

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এসআরডিআইয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন, বিজ্ঞানীদের সক্ষমতা ও কাজের সুযোগ বাড়ানোসহ সামগ্রিকভাবে এই প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে।

পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, প্রকল্পটি প্রস্তাব পাওয়ার পর ২০১৯ সালের ১৮ মার্চ  প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় দেওয়া সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পুনর্গঠন করা হয়েছে। ফলে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আজকের (মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি) সভায় প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে। অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে  প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে কৃষি মন্ত্রণালয়।

প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য জাকির হোসেন আকন্দ পরিকল্পনা কমিশনের মতামত দিতে গিয়ে বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের প্রয়োজনীয় সক্ষমতা বাড়বে। ফলে দেশের মৃত্তিকা সম্পদের সুরক্ষা ও উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় গবেষণা কার্যক্রমে প্রকল্পটি সহায়ক হবে।


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

কুষ্টিয়া থেকে সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:২৮

সম্পর্কিত খবর