হামলা করে প্রতিহত করা যাবে না: তাবিথ
২১ জানুয়ারি ২০২০ ১৩:৪৬
ঢাকা: নির্বাচনি প্রচারণায় হামলার ঘটনাকে ‘খুবই দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) গাবতলীতে নির্বাচনি প্রচারণার সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
তাবিথ বলেন, ‘তারা আমাদের নানাভাবে প্রতিহত করার চেষ্টা করছে। হামলার এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক। তবে যত চেষ্টাই করুক আমরা নির্বাচন থেকে পিছু হটবো না। দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থক এবং এলাকাবাসীকে আহ্বান জানাচ্ছি, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখুন। আমরা আমাদের গণসংযোগ চালিয়ে যাবো।’
তাবিথের প্রচারণায় হামলার অভিযোগ
একটু আগে আমরা ইতিবাচক ভাবনা নিয়ে গণসংযোগ শুরু করেছিলাম উল্লেখ করে তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘কিন্তু পেছন দিক থেকে কাপুরুষের মতো আমাকে টার্গেট করে আমার ওপর হামলা করা হয়েছে। আমার সঙ্গের সহকর্মী নেতকর্মীদেরকে মারা হয়েছে। জাতীয় নেতাদের টার্গেট করে মারা হয়েছে। সবচেয়ে ভয়ংকর কথা হলো- এই হামলা কিছু পুলিশ কর্মকর্তার সামনেই হয়েছে।’
পুলিশের প্রতি আক্ষেপ করে তাবিথ বলেন, ‘পুলিশ কর্মকর্তাদের সামনেই এই হামলা হয়েছে। এলাকার ঠেলাগাড়ি প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী মাসুম ও তার গুণ্ডাবাহিনী করেছে। আমি আশা করবো ওনারা তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আমার প্রতিপক্ষকে হুঁশিয়ার করে দিতে চাই, আমার ওপর হামলা বিশেষ করে আমার মনোবল ভাঙবে না। পিছু হটাতে পারবেন না। গণসংযোগ এগিয়ে নেব। ১ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তা প্রমাণ করবো।’
নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে তাবিথ বলেন, ‘আমরা দেখবো কমিশন আইনানুযায়ী কি ব্যবস্থা নেয়। কারণ আমরা এর আগে যখন নিরাপত্তার জন্য শঙ্কা প্রকাশ করে আবেদন করেছিলাম। তখন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিষয়টি হেসে উড়িয়ে দিয়েছিল।’
এরপর তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফের গণসংযোগ শুরু করেন কল্যাণপুর এলাকায়। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ দফতর সম্পাদক বেলাল আহমেদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সাইদুল ইসলামসহ বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘হামলার কোনো ঘটনাই ঘটেনি। দুই পক্ষ মুখোমুখি ছিল। সেখানে পুলিশ গিয়ে তাদের উভয় পক্ষকে সরিয়ে দিয়েছে।’
‘আপনি বলছেন হামলাই হয়নি, অথচ বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও আহত হয়েছে এবং অভিযোগ রয়েছে হামলাকারীরা পুলিশের সহায়তায় হামলা করেছে’,- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘তাই নাকি? তাহলে আমার বিষয়টা জানা নেই। আমি ঘটনাস্থলে নেই, আদালতে। কিন্তু সেখানে আমার ইন্সেপেক্টর (অপারেশন) আছেন। ওনারা আমাকে যা জানিয়েছে তাই বললাম। যদি এমন কিছু হয় তাহলে আমি এখনই খোঁজ নিচ্ছি।’
এর আগে, রাজধানীর গাবতলীর আনন্দনগরের তেলের মিল এলাকায় প্রচারণা চালানোর সময় হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দলের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাবিথ।