জলবায়ু শরণার্থীদের দেশে ফেরত পাঠানো যাবে না: জাতিসংঘ
২১ জানুয়ারি ২০২০ ১৭:১৭
বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু বিপর্যয়ের কারণে যেসব শরণার্থী নিজ দেশ ত্যাগ করে অন্য রাষ্ট্রে আশ্রয় নেবেন তাদের জোর করে ফেরত পাঠানো যাবে না। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিটি এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে এ কথা জানিয়েছে। খবর সিএনএনের।
এই প্রসঙ্গ উঠে এসেছে প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত দ্বীপরাষ্ট্র কিরিবাতির এক নাগরিকের আবেদনের জের ধরে। আইওনি তেতিওতা নামের ওই ব্যক্তি নিউজিল্যান্ডে আশ্রয় চেয়েছিলেন কারণ, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ায় তার দ্বীপ পড়েছে হুমকির মুখে। নিউজিল্যান্ড তিনি আশ্রয় দাবি করলেও দেশটি তা নাকচ করে।
এ বিষয়ে শুনানি করতে গিয়ে মানবাধিকার বিষয়ক কমিটি জানায়, আসন্ন কোনো ঝুঁকি নেই বিধায় আইওনি তেতিওতাকে নিউজিল্যান্ডে আশ্রয় দেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। তবে জলবায়ু বিপর্যয়ের কারণে চরম ক্ষতিগ্রস্ত শরণার্থীরা অন্যদেশে আশ্রয় নিলে তাদের বের করে দেওয়া যাবে না।
জাতিসংঘের দেওয়া এই নির্দেশনা তাৎক্ষণিক প্রভাব না ফেললেও ভবিষ্যতে জলবায়ু শরণার্থীদের মানবাধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ আইনি সহায়তার রেফারেন্স হিসেবে কাজ করবে।
কমিটির মতে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বলিষ্ঠ প্রচেষ্টা গ্রহণ না করলে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে সাধারণ মানুষের অধিকার হরণ করা হবে।
নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তির ৬ ও ৭ ধারা অনুযায়ী মানবাধিকার নিশ্চিত করতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দ্য ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ এর মতে, প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে ছয়টি ঝুঁকিপূর্ণ দ্বীপের মধ্যে কিরিবাতি একটি। ২০৫০ সালের মধ্যে দ্বীপটি বাসের অযোগ্য হতে পারে।
এছাড়া, ২০১৮ সালে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক জানায়, দক্ষিণ এশিয়া, সাব-সাহারা আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এসব অঞ্চলের প্রায় ১৪ কোটি মানুষ হতে পারে বাস্তুচ্যুত।
জলবায়ু শরণার্থী জাতিসংঘ পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী