Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

একবছরে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১০ শতাংশ: অর্থমন্ত্রী


২২ জানুয়ারি ২০২০ ১৯:৪৮

সংসদ ভবন থেকে: ২০১৭-১৮ অর্থবছরের তুলনায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ প্রায় ১০ শতাংশ বেশি ছিল বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

তিনি বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৬৪০ কোটি মার্কিন ডলার। আগের অর্থবছরের তুলনায় এর পরিমাণ ৯ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। এদিকে, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৯৪০ কোটি মার্কিন ডলার, আগের অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় যা ২৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেশি।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, রেমিট্যান্স গ্রহণ ও গ্রাহকের কাছে সরাসরি পৌঁছানোর লক্ষ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজের ড্রয়িং ব্যবস্থাপনাকে উৎসাহিত করা হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের কোম্পানির সঙ্গে বর্তমানে প্রায় এক হাজার ২৪৫টি ড্রয়িং ব্যবস্থা কার্যকর রয়েছে, যা রেমিট্যান্স আহরণে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। আরও নতুন নতুন ব্যবস্থা স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে।

সরকারি দলের আরেক সংসদ সদস্য মো. হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী ক্ষুদ্র ঋণের  সর্বোচ্চ সুদের হার ২৪ শতাংশ। এর আগে বেসরকারি সংস্থাগুলো বেশি সুদে ঋণ বিতরণ করত। কিন্তু মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি আইন-২০০৬-এর আওতায় সরকার এখন ক্ষুদ্র ঋণেও সুদের হার নির্ধারণ করে দিচ্ছে।

সংসদ সদস্য বেগম আদিবা আনজুম মিতার প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল জানান, সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ১৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে সর্বোচ্চ। জনগণের মাথাপিছু আয় ২০০৫ সালে ছিল ৫৪৩ মার্কিন ডলার, যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এক হাজার ৯০৯ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। দারিদ্র্যের হার ২০০৫ সালের ৪০ শতাংশ থেকে ২০১৯ সালে ২০ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে এবং অতি দারিদ্র্যের হার কমে ১০ দশমিক ৫ শতাংশ হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

একই প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন ইত্যাদি খাতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার ফলে বাংলাদেশে সামাজিক খাতে সব সূচকে এগিয়ে আছে। গত এক দশকে মূল্যস্ফীতি ধারাবাহিকভাবে কমেছে। ২০০৮ সালে মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৬ শতাংশ, যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫ শতাংশ ৫ শতাংশ হয়েছে।

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

শরৎ বাংলাদেশের কোমল স্নিগ্ধ এক ঋতু
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৪

সম্পর্কিত খবর