কোনো উইপোকার জায়গা হবে না: তাপস
২২ জানুয়ারি ২০২০ ২৩:০২
ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে কোনো উইপোকার জায়গা হবে না বলে না জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে কারা কনভেনশন সেন্টারে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ (এফবিসিসিআই) আয়োজিত ব্যবসায়ী সম্মেলন ২০২০ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তাপস বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বড় বড় প্রকল্প দিয়েছেন। কিন্তু তিনি দুঃখের সঙ্গে বলেছেন, ‘আমার প্রকল্পের টাকা উইপোকারা খেয়ে নেয়। আমি নির্বাচিত হতে পারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে কোনো উইপোকার জায়গা হবে না। সম্পূর্ণরূপে দুর্নীতিমুক্ত সংস্থা হিসেবে ঢাকাকে গড়ে তুলব। আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর একটি সংস্থা হবে। যার মাধ্যমে মৌলিক, নাগরিক সেবাগুলো ঢাকাবাসীর দোরগোড়ায় গড়ায় পৌঁছে দেব। কোনো রকম উৎকোচ, অতিরিক্ত ব্যয় বা হয়রানি কোনো অবকাশ সেখানে থাকবে না।’
তাপস বলেন, ‘আমি নির্বাচিত হলে দায়িত্বগ্রহণের ৯০ দিনের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণে সব মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করব। এ ৯০ দিনের মধ্যে আমরা উন্নত ঢাকার মহাপরিকল্পনা করব। ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের লক্ষ্য হিসেবে ধরে আমরা আমাদের পরিকল্পনা করব। ঢাকা দক্ষিণ সিটি হবে একটি ব্যবসাবান্ধব সেবা সংস্থা। ট্রেড লাইসেন্সের যে কোনো বিষয় ৫ কর্মদিবসের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনে একটি ব্যবসায়ী ডেস্ক থাকবে।’
তাপস আরও বলেন, ‘আমার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৭৫টি ওয়ার্ড, ২৪টি থানা। আর ২৪ লাখ ৫৩ হাজারের বেশি ভোটার। সকলের দ্বারে ব্যক্তিগতভাবে আমার পৌঁছানো সম্ভব না। তবে প্রত্যেকটি এলাকায় গণসংযোগ করার চেষ্টা করছি। তবে ঢাকাবাসী তথা নিজে একজন নাগরিক হিসেবে ঢাকাবাসীর সমস্যাগুলো অনুভব করেছি বলেই হয়তবা আমি এ পদের জন্য মনোনয়নপ্রত্যাশী হয়েছি। ঢাকাকে আমরা সবাই ভালবাসি। আমরা যে যে প্রান্ত থেকে আসি না কেন ঢাকাকে ঘিরেই আমাদের সব। কিন্তু এই ঢাকাকে নিয়ে আমরা যতোটা স্বপ্ন দেখি, সে প্রত্যাশা অনুয়ায়ী আজকে আমরা সেই ঢাকা পাই না।’
ব্যবসায়ী নেতৃত্ববৃন্দ আমাকে ২৮টি সমস্যার তালিকা দিয়েছেন জানিয়ে তাপস আরও বলেন, ‘আমি বিচলিত নই। আমি ভেবেছিলাম হয়ত ২৮শ সমস্যা কথা বলা হবে। চিন্তার কিছু বিষয় ছিল। এ ছাড়া আমি উন্নয়নমূলক কাজ কতটুকু করতে পারব জানি না। তবে এটুকু বলতে পারি, আমি নির্বাচিত হলে আপনাদের সঙ্গে এবং পাশে থাকব। এ ছাড়া সংসদ সদস্য থেকে যখন পদত্যাগ করলাম তার আগের রাতে যখন চিন্তা করলাম তখন সেই চিন্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আসলেই পা দিচ্ছি ঠিক আছে নাকি নেই, স্বপ্ন বাস্তবায়ন না ব্যর্থতায় ভরা। অর্থাৎ চ্যালেঞ্জ নিয়ে পদত্যাগ করেছি। ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে ফিরে যাওয়ার জন্য আমি সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করিনি। আমাদের ঢাকা পাঁচটি ভাগে উন্নয়নের রূপরেখা দিয়েছি।’
বায়ুদূষণ রোধ করতে সবুজায়ন করব জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রচুর সবুজায়ন করব। ওয়ার্ডভিত্তিক উন্নয়ন করব। ঢাকাকে আমরা সুন্দর ঢাকা হিসেবে গড়ে তুলব। আমাদের জীবন এখন একটি দৈনন্দিন সংগ্রাম। আমরা ঢাকাকে সচল ঢাকা হিসেবে গড়ে তুলব। যানবাহন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাব। একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ঢাকাকে গড়ে তুলব।’