চবি ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের পর হল থেকে আটক ২০
২৩ জানুয়ারি ২০২০ ০৯:৫৩
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দু্ই গ্রুপের সংঘর্ষের পর দুটি হল থেকে সন্দেহজনক হিসেবে অন্তত ২০ জনকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ। এদের মধ্যে চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) ১২ জন ও বিজয় গ্রুপের ৮ নেতাকর্মী রয়েছেন।
বুধবার (২২জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে শাহ আমানত হল ও সোহরাওয়ার্দী হল থেকে এদের আটক করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটকদের মধ্যে কয়েকজনের নাম জানা গেছে। এরা হলেন, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের হাবিবুর রহমান, একই শিক্ষাবর্ষের সাইফুর রহমান, মোসাদ্দেক, রাসেল সরকার, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের রাশেদ, একই শিক্ষাবর্ষের মো. রুবেল, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের লিটন দাস, সাদাফ, রকিব, রমজান, মাসুদ, আল আলিফ।
গতকাল বুধবার থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে কেন্দ্রীয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়। বিকেল ৪টার দিকে ৪০০ মিটার দৌড়ের ট্র্যাকে দাঁড়ানো নিয়ে কথা কাটাকাটির পর বিজয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা আজাদ নামে এক ছাত্রকে মারধর করে। আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র এবং শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) গ্রুপের কর্মী।
এই ঘটনায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা শুরু হয়। পরে সিএফসি নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলে বিজয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের ওপর মারধর করেন। এক পর্যায়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে সিএফসি আমানত হলে ও বিজয় গ্রুপ সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থান নেয়। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতির বহিষ্কার ও হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে গত রাত ৯টার দিকে বিজয় গ্রুপের নেতা ও ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইলিয়াস বিশ্ববিদ্যালয় অবরোধের ডাক দেন।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, বিবাদমান সিএফসি ও বিজয় দুটি গ্রুপই শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসান সারাবাংলাকে বলেন, ‘তারা প্রক্টরের গাড়ি ভেঙেছে, পুলিশের গাড়ি ভাংচুর করেছে। আমরা অনেক ছাড় দিয়েছি। অনেক সহনশীল আচরণ করেছি। কিন্তু দুই গ্রুপের প্রতিহিংসা মারামারি থামছে না। তাই বাধ্য হয়ে দুই হল থেকে সন্দেহজনকভাবে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। যাদেরকে আটক করা হয়েছে তাদেরকে হাটহাজারি থানায় পাঠানো হয়েছে। যাচাই বাচাই করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এই বিষয়ে জানতে পুলিশের হাটহাজারি সার্কেলের এএসপি আব্দুল্লাহ আল মাসুম জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটার সঙ্গেই থাকবেন তারা।