আজ দৃশ্যমান হবে পদ্মাসেতুর ৩ হাজার ৩০০ মিটার
২৩ জানুয়ারি ২০২০ ১০:৪৮
মুন্সীগঞ্জ: পদ্মাসেতুর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের ৫ ও ৬ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হচ্ছে ২২তম স্প্যান ‘ওয়ান-ই’। আর এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হবে সেতুর ৩ হাজার ৩০০ মিটার।
২১তম স্প্যান বসানোর আট দিনের মাথায় বসতে যাচ্ছে ২২তম স্প্যানটি। যদিও এ স্প্যানটি ২৫ জানুয়ারি বসানোর কথা ছিল। কিন্তু সেদিন চাইনিজ নিউ ইয়ার পড়ে যাওয়ায় এবং সেতু প্রকল্পে চীনের নাগরিকরা কর্মরত থাকায় স্প্যান বসানোর কাজ দুইদিন এগিয়ে আনা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় মাওয়া কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্প্যানটি নিয়ে রওনা দেয় ক্রেন তিয়ান-ই। ভাসমান এই ক্রেনটির ধারনক্ষমতা তিন হাজার ৬০০ টন। সকাল পোনে ১০টায় সেতুর কাছে গিয়ে পৌঁছে ক্রেনটি। এখন চলছে স্প্যানটি পিলারের উপরে তোলার কার্যক্রম।
সেতুর প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, ৬ ও ৭ নম্বর পিলারের ওপর স্থায়ীভাবে বসেছে ওয়ান-এফ স্প্যান। আর তার ঠিক সঙ্গেই বসানো হচ্ছে এই ওয়ান-ই স্প্যানটি।
পদ্মাসেতুর ৪২টি পিলারের মধ্যে কাজ বাকি আছে ৬টি পিলারের। এগুলো হলো- ৮, ১০, ১১, ২৬, ২৭, ২৯ নম্বর পিলার। সেতুর ৮, ২৯ নম্বর পিলারের কাজ প্রায় শেষের দিকে। পিয়ার হেডের কাজ শুরুর প্রস্তুতি চলছে। ১১ নম্বর পিলারের পাইল ক্যাপ সম্পন্ন হয়েছে। ১০ নম্বর পিলারের প্রথম লেয়ারের পাইল ক্যাপ শেষ হয়েছে। সেতুর ২৬ ও ২৭ নম্বর পিলারের নিচের ধাপের কংক্রিটিং শেষ বাকি আছে উপরের ধাপের কংক্রিটিং।
সেতুর ৮ ও ২৯ নম্বর পিলারের কাজ চলতি মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। ১১ নম্বর পিলার ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে সম্পন্ন হওয়ার কথা আছে। ১০ নম্বর পিলার মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে শেষ হবে। ২৬ ও ২৭ নম্বর পিলারের কাজ শেষ হতে পারে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে। এপ্রিলের মধ্যে পদ্মাসেতুর সব পিলারের কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদী প্রকৌশলীরা।
পুরো সেতুতে ২ হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। আর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে ২ হাজার ৯৫৯টি। পদ্মাসেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।