কর সহায়তা পেলে চীনকে ছাড়িয়ে যেতে পারে দেশের ফার্নিচার বাজার
২৩ জানুয়ারি ২০২০ ১১:০৯
ঢাকা: দেশে ফার্নিচার খাতের বাজার ২৫ হাজার কোটি টাকার। তবে কর সহায়তা এবং দক্ষতা বাড়ানো গেলে বিশ্ববাজারের বড় অংশ দখলে নিতে পারে বাংলাদেশ। ফার্নিচার খাত নিয়ে এসএমই ফাউন্ডেশনের সহায়তায় পরিচালিত এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীর এসএমই ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় গবেষকরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এসএমই ফাউন্ডেশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম শাহীন আনোয়ার। গবেষণা পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীয়ত উল্লাহ, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. ইসমাইল হোসাইন, ড. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এবং ড. গাজী মোহাম্মদ হাসান জামিল।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিশ্বে ৪৮ হাজার ৭০ কোটি ডলারের ফার্নিচারের বাজারের ৩১ দশমিক সাত ভাগই চীনের দখলে। ২০২৫ সালে বিশ্বে ফার্নিচার খাতের বাজার হতে পারে ৬৫ হাজার ৪৬০ কোটি ডলারের। গত অর্থবছরে মাত্র ৭ কোটি ৪৭ লাখ ডলারের ফার্নিচার রফতানি করেছে বাংলাদেশ, যা বাংলাদেশের মোট রফতানির শুন্য দশমিক এক আট ভাগ।
তবে ইতিবাচক দিক হল গত অর্থবছরে দেশের মোট রফতানি ১০ দশমিক ৫৫ ভাগ বাড়লেও ফার্নিচার রফতানি বেড়েছে ১৮ দশমিক ৫২ ভাগ। আর ২০২২ সালে দেশের ফার্নিচার রফতানি ১০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
গবেষকদের মতে, কর কাঠামো পুনর্বিবেচনা, উদ্যোক্তাদের ঋণ সহায়তা, আলাদা ফার্নিচার শিল্প পার্ক প্রতিষ্ঠা, ভ্যাট কাঠামো সহজ করা এবং এই খাতের উদ্যোক্তা ও কর্মীদের দক্ষতা বাড়ানো গেলে চীনের দখলে থাকা ফার্নিচার বাজারের একটা বড় দখলে নিতে পারে বাংলাদেশ। ফার্নিচার খাতের শীর্ষ উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ফার্নিচার খাতের সংগঠনের নেতারা উপস্থিত। তাদের মতামত নিয়ে শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করবে এসএমই ফাউন্ডেশন।