Saturday 05 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নিউইয়র্কে বাংলা সাংবাদিকতায় পেশাদারিত্ব চায় সম্পাদকেরা


২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১২:২১ | আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৩:০১

নিউইয়র্ক থেকে

নিউইয়র্কে পেশাদারিত্বের সাথে বাংলা সাংবাদিকতার চর্চা হোক এমনটাই প্রত্যাশা করেন  নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা মুদ্রণ মাধ্যমের সম্পাদকেরা। তারা মনে করেন, বাজার যাচাই-বাছাই না করে অনেকে নিউইয়র্ক থেকে নতুন করে পত্রিকা প্রকাশের উদ্যোগ নিচ্ছেন। যা এখানকার বাংলা পত্রিকাগুলোর ওপর আঘাতের সামিল।

২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে নিউইয়র্কে টাইম টেলিভিশনের নিজস্ব স্টুডিওতে আয়োজিত ‘প্রবাসে সংবাদপত্রের ভূমিকা ও চ্যালেঞ্জ’  শীর্ষক মুক্ত (লাইভ) আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন সম্পাদকেরা। ওই আলোচনায় নিউইয়র্কে থেকে প্রকাশিত ৮টি মুদ্রণ মাধ্যমের সম্পাদক অংশ নেন।

সম্পাদকেরা বলেন, নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কমিউনিটি বিনির্মাণে বাংলা গণমাধ্যমগুলোর গুরুত্ব ও অবদান অপরিসীম। এর ভূমিকাকে খাটো করে দেখার কোন সুযোগ নেই। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে প্রবাসে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী কমিউনিটি বিনির্মাণে অব্যাহত ভূমিকা রেখে চলেছেন তারা। তবে কতিপয় সংবাদ মাধ্যমের অপেশাদার আচরণ এবং ঢাকার কিছু মিডিয়ার প্রবাসমুখী প্রবণতা নিউইয়র্কের বাংলা সংবাদমাধ্যমগুলোকে হুমকির মুখোমুখী করে তুলছে বলে মনে করেন সম্পাদকেরা।

তারা বলেন, স্থানীয় বিজ্ঞাপনের বাজার যাচাই-বাছাই না করে অনেকে নিউইয়র্ক থেকে পত্রিকা প্রকাশের উদ্যোগ নিচ্ছেন। যা এখানকার পত্রিকাগুলোর ওপর আঘাতের সামিল। আমরা প্রবাসে বাংলা সাংবাদিকতায় পেশাদারিত্ব চায়, সুস্থ প্রতিযোগিতা চায়, সেবাদানের পাশাপাশি সম্মানের সাথে বেঁচে থাকতে চায়।

প্রায় দেড় ঘন্টাব্যাপী ‘লাইভ’আলোচনার পরিচালক ছিলেন, সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকার সম্পাদক ও টাইম টেলিভিশন এর সিইও আবু তাহের। আলোচনায় অংশ নেন সাপ্তাহিক বাংলাদেশ’র সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান, সাপ্তাহিক ঠিকানার সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এম এম শাহীন,  সাপ্তাহিক পরিচয়ের সম্পাদক নাজমুল আহসান, সাপ্তাহিক আজকাল এর সম্পাদক জাকারিয়া মাসুদ জিকো, সাপ্তাহিক দেশবাংলা ও বাংলা টাইমসের সম্পাদক চৌধুরী সারোয়ারুল হাসান, সাপ্তাহিক জন্মভূমির সম্পাদক রতন তালুকদার, সাপ্তাহিক প্রবাসের সম্পাদক মোহাম্মদ সাঈদ। খবর ইউএনএ।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে ডা. ওয়াজেদ এ খান বলেন, বাজার যাচাই-বাছাই না করে ঢাকার কোন কোন করপোরেট হাউজ এখান থেকে মিডিয়া প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এর ফলে কমিউনিটির ব্যবসায়ী, বিজ্ঞাপনদাতা ও মিডিয়ার পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নিউইয়র্কের শীর্ষ ১০ বাংলা গনমাধ্যমের সম্পাদক উদ্বিগ্ন।

এম এম শাহীন বলেন, ৩০ বছর ধরে আমরা নিউইয়র্ক থেকে বাংলা মিডিয়া প্রকাশ করে কমিউনিটি সাংবাদিকতায় স্থায়ী আসন গেড়েছি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, কারো কারো অপেশাদারিত্বের কারণে প্রবাসের সাংবাদিকতা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। কোন কোন মিডিয়ার সম্পাদক বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠানের ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং লজ্জাকর।

নাজমুল আহসান বলেন, আমরা অশুভ প্রক্রিয়ার প্রতিবাদ জানাই। ২০/৩০ বছর ধরে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে আমরা এখানে বাংলা মিডিয়া প্রতিষ্ঠিত করেছি। ঢাকা থেকে পূঁজি নিয়ে এসে গনমাধ্যমগুলোকে অসম প্রতিযোগিতার মুখোমুখি করা কাম্য নয়। তিনি প্রশ্ন রাখেন, ঢাকার পূঁজির উৎস বা মিডিয়া প্রকাশের কারণ কি? তাদের উদ্দেশ্য কি? কমিউনিটি তা জানতে চায়।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর