গণসংযোগে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত আতিকুল ইসলাম
২৪ জানুয়ারি ২০২০ ০০:১০
ঢাকা: ঘড়ির কাটায় তখন দুপুর ১টা বেজে ২৫ মিনিট। পশ্চিম রাজাবাজার এলাকায় রাস্তা দুই পাশে ফুল হাতে দাঁড়ানো বিভিন্ন বয়সের মানুষ। বৃদ্ধ থেকে শুরু করে তরুণ-তরুণীরাও রয়েছেন তাদের মধ্যে। বিভিন্ন বাসার ছাদ ও বারান্দায়ও এই সময় দেখা যায় প্রায় একই রকমের দৃশ্য। তারা সবাই অপেক্ষা করছেন ফুল হাতে। একটু পরেই ওই এলাকায় গণসংযোগে যান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। রাস্তার দুই পাশ থেকে ফুল ছুড়ে দিয়ে তাকে বরণ করে নেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজার, পূর্ব রাজাবাজার, ইন্দিরা রোড, গ্রিন রোডে এলাকায় আতিকুল ইসলামের গণসংযোগে দেখা যায় এমন দৃশ্য। এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, আতিকুল ইসলামের প্রতি ভালোবাসা থেকেই তারা এখানে দাঁড়িয়ে আছেন।
পশ্চিম রাজাবাজার এলাকার বাসিন্দা সুমন আজাদ বলেন, ঢাকার উন্নয়নে আতিকুল ইসলাম গত ৯ মাস যেভাবে কাজ করে গেছেন তাতে আমরা আশাবাদী, আগামীতেও তিনি এই শহরের উন্নয়নে কাজ করে যাবেন। তাই আমরা এখানে সপরিবারে দাঁড়িয়েছি উনার সমর্থনে।
পাশেই একই রঙের শাড়ি পরে দাঁড়িয়ে ছিলেন একদল তরুণী। তাদের একজন শারমিন সোহানা। তিনি বদরুন্নেসা কলেজের শিক্ষার্থী। বললেন, আতিকুল ইসলাম খুব অল্প সময় পেয়েছিলেন কাজ করার জন্য। এর মধ্যেও তিনি যেভাবে কাজ করে গেছেন, তা প্রশংসাযোগ্য। নির্বাচিত হলে ভবিষ্যতে তিনি তার পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে পারবেন বলে বিশ্বাস করি। তাই আমরা এখানে উনাকে অভ্যর্থনা জানাতে দাঁড়িয়েছি।
ইন্দিরা রোডের বাসিন্দা শামসুল ইসলাম ব্যক্তিগতভাবেই উপকার পেয়েছেন মেয়রের কাছে। তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় তো অনেকে অনেক প্রতিশ্রুতিই দেন, কিন্তু নির্বাচন শেষে সবাই অমাবস্যার চাঁদ হয়ে যান। তবে আতিকুল ইসলামকে কিছুটা ব্যতিক্রম মনে হয়েছে। তিনি মেয়র থাকাকালীন আমি দুইবার গিয়েছিলাম নগরভবনে। দুইবারই তিনি আমাকে বসিয়ে কথা বলেছেন, আমার সমস্যার সমাধান করেছেন। তিনি আবার মেয়র হলে আশা করি তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারবেন।
ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত আতিকুল ইসলাম জানালেন, খানিকটা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, সবাই যেভাবে আমাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, তাতে আমি আপ্লুত। নির্বাচিত হলে অবশ্যই প্রতিটি দিন আমি সবার জন্য কাজ করে যাওয়ার চেষ্টা করব।
এই এলাকা থেকে এগিয়ে যেতেই কিছুক্ষণ পর তেঁজগাও সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছায় আতিকুল ইসলামের নির্বাচনি বহর। সেখানেও স্কুলে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা আতিকুলের পথ রোধ করেন। তারা আওয়ামী লীগের এই মেয়র প্রার্থীর সঙ্গে দেখা করতে চান। পরে আতিকুল সেখানে গাড়িবহর নিয়ে থামেন এবং শিশু শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বেশকিছু সময় কাটান। অভিভাবকদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
অভিভাবকদের একজন ফারাহ সুলতানা সারাবাংলাকে বলেন, আতিকুল ইসলাম এই পথ দিয়ে যাবেন বলে শিশুরা তার সঙ্গে দেখা করতে চায়। উনি তাদের নিরাশ করেননি। তিনি যেভাবে শিশুদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন, তা দেখে মনো হলো, তিনি শহরের নাগরিকদের সঙ্গেও মিশে যেতে পারবেন। সেটা করতে পারলেই তিনি শহরকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।
নির্বাচনি প্রচারণার ত্রয়োদশ দিনে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের গলি থেকে গণসংযোগ ও পথসভা শুরু করেন আতিকুল ইসলাম। এরপর মনিপুরী পাড়া, টিএনটি মাঠ (শেরে বাংলা নগর), পশ্চিম রাজাবাজার, পূর্ব রাজাবাজার, গ্রিন সুপার মার্কেট হয়ে ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন তিনি। পরে মগবাজার, শাহনুরি মডেল হাই স্কুল (মগবাজার) নয়াটোলা ও ওয়্যারলেসে এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা করেন আতিকুল ইসলাম।