জীর্ণ রেলসেতু মেরামতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর
২৬ জানুয়ারি ২০২০ ১৪:১০
ঢাকা: রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করতে জীর্ণ সব রেলসেতু ও লাইন মেরামতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য সারাদেশে জরিপ করে আলাদা প্রকল্প তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ১১টি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এই আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: মুজিববর্ষের আগেই ১১টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বাংলাদেশকে যখন স্বাধীন করেছিলেন তখন বাংলাদেশের মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করতো। একবেলা খাবার জোটানো তাদের জন্য কষ্টকর ছিল। থাকার ঘর ছিল না, চিকিৎসা সেবা ছিল না। শিক্ষার সুযোগ ছিল না। সম্পূর্ণ অবহেলিত, শোষিত বঞ্চিত একটা জাতি। এই জাতির আর্থ-সামাজিক মুক্তির জন্যই তিনি মুক্তি সংগ্রাম করেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষা পাবেন।
‘একটি দেশের সার্বিক উন্নয়ন করতে হলে শুধু রাজধানীভিত্তিক উন্নয়ন করলে হবে না। একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে যে মানুষগুলো থাকে, তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নতি ছাড়া কোনো দেশ উন্নত হতে পারে না। এটা হলো বাস্তবতা’— বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট জাতির জীবনে একটি চরম দুঃসময় এবং কালো অধ্যায়। জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর জাতির ভাগ্য উন্নয়নের অগ্রযাত্রা থেমে গিয়েছিল। জাতির পিতাকে হত্যার পর আমরা দেখেছি, যে চেতনা নিয়ে, যে চিন্তা নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, সেটি আর কার্যকর হচ্ছে না। এই বাংলাদেশে এমন একটি সময় এসেছিল যখন রেলকে সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা পরবর্তী সরকার নিয়েছিল। একইসঙ্গে সার্বিক উন্নয়নের দিক থেকে গ্রামের মানুষ বা সাধারণ মানুষ সম্পূর্ণভাবে বঞ্চিত ছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, মিলিটারি ডিকটেটররা যখন সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসে, তখন তারা একটি এলিট শ্রেণি তৈরি করে বা কিছু লোককে অর্থ-সম্পদের মালিক করে দেয়। তাদের দিয়ে তারা ক্ষমতার ভিত্তিটাকে শক্ত করতে চায়। বঞ্চিত থেকে যায় অগণিত জনগোষ্ঠী। আর আমরা যারা রাজনীতি করে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকারে আসি, আমাদের লক্ষ্যই থাকে দেশের জনগণের সার্বিক কল্যাণ, সার্বিক উন্নতি। যে কারণে ৭৫’র পর ২১ বছর এ দেশের মানুষ সম্পূর্ণভাবে বঞ্চিত ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রেলের জীর্ণ যে ব্রিজগুলো রয়েছে, সেগুলো ভালোভাবে মেরামত করতে হবে। রেলকে পুরোপুরি বন্ধ করে দেবে, আমাদের পূর্ববর্তী সরকারগুলো এটাই চিন্তা ছিল। সেই কারণে তারা গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে লোকবল বিদায় দিয়ে দেয়। আর বিভিন্ন জায়গায় লাইনগুলো বন্ধ করে দেয়। আমি মনে করি, এটি একটি আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত ছিল।
আমরা রেলকে উন্নত করতে কাজ করে যাচ্ছি। আমি মনে করি, সারাদেশে একটি সার্ভে করে আলাদা প্রকল্প তৈরি করে আনলে আমরা করে দিতে পারি। তাছাড়া রেলের নিজস্ব তহবিল আছে, তাই বিভিন্ন জায়গায় যেখানে সম্ভব রেলসেতু এবং লাইনগুলো দ্রুত মেরামত করা হবে বলে আমি আশা করি, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
জীর্ণ রেলসেতু প্রধানমন্ত্রী রেললাইন রেলসেতু ও লাইন মেরামত শেখ হাসিনা