Wednesday 11 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঘোষণা মাশরুম-সুইট কর্নের, এলো সিগারেট-চকলেট


২৬ জানুয়ারি ২০২০ ১৯:০১

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বন্দরে মিথ্যা ঘোষণায় আনা দুই কনটেইনার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট ও চকলেট জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এর মাধ্যমে বড় অঙ্কের শুল্ক ফাঁকি ও অর্থপাচার হয়েছে বলে সন্দেহ করছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে কনটেইনার দু’টির কায়িক পরীক্ষার পর বিদেশি ব্র্যান্ডের সিগারেট এবং চকলেট পাবার কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী কমিশনার সানজিদা অনুসূয়া।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সংযুক্ত আরব-আমিরাত থেকে মাশরুম আনার ঘোষণা দিয়ে ঋণপত্র খুলেছিল চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদের বাংলা ভিনা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। নগরীর আগ্রাবাদের খায়ের ব্রাদার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান সিএন্ডএফ এজেন্ট হিসেবে গত ৫ জানুয়ারি বন্দরে আসা কনটেইনার থেকে পণ্য খালাসের জন্য কাস্টমসে ঋণপত্র দাখিল করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমসের এআরআই শাখা ওই কনটেইনার থেকে পণ্য খালাস স্থগিত ঘোষণা করে।

কাস্টমস কর্মকর্তা সানজিদা অনুসূয়া সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, রোববার কনটেইনারটি খুলে কায়িক পরীক্ষা করা হয়। এতে মাশরুমের বদলে চার ব্র্যান্ডের সিগারেট পাওয়া গেছে। ব্র্যান্ডগুলো হচ্ছে- ইজি, থ্রি জিরো থ্রি, ব্ল্যাক এবং মন্ড। ৭৮১ কার্টনে মোট এক কোটি ৪০ লাখ ২০ হাজার সিগারেট পাওয়া গেছে।

এদিকে তুরস্ক থেকে সুইট কর্ন আনার ঘোষণা দিয়ে ঋণপত্র খুলেছিল ঢাকার মতিঝিলের সামিট ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদের সুপারসনিক ফ্রেইট ফরোয়াডার্স লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান সিএন্ডএফ এজেন্ট হিসেবে বন্দরে আসা সেই কনটেইনার খালাসের দায়িত্ব পেয়েছিল। রোববার বিকেলে কায়িক পরীক্ষার সময় সেখানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদেশি চকলেট পাওয়া গেছে।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী কমিশনার সানজিদা অনুসূয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘দুই কনটেইনার ভর্তি বিপুল পরিমাণ সিগারেট ও চকলেট আছে। সিগারেটের গণনা শেষ হয়েছে, চকলেটের চলছে। সিগারেট আমদানি নিষিদ্ধ। আর চকলেটগুলোর দাম এবং শুল্ক বেশি। কম দামের সুইট কর্ন দেখিয়ে বেশি দামের চকলেট আনা হয়েছে শুল্ক ফাঁকির উদ্দেশে। এ বিষয়ে আমরা আইনগত পদক্ষেপ নিচ্ছি।’

কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সিগারেট ও চকলেট


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর