রাবির সাবেক ভিসি মিজানউদ্দিনের দুর্নীতি তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন
২৬ জানুয়ারি ২০২০ ২০:৫৭
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা, ঢাকার অতিথিভবন কেনায় ১০ কোটি টাকার দুর্নীতিসহ সবধরনের দুর্নীতির তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রগতিশীল শিক্ষকরা।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) বেলা ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের ব্যানারে এই মানববন্ধনের জানানো হয়।
প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক কাজী জাহিদুর রহমান বলেন, ‘সাবেক উপাচার্য ড. মিজানউদ্দিনের আমলে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক ও কফিশপ নির্মাণ, ঢাকার অতিথি ভবন নির্মাণে ভয়াবহ দুর্নীতি করলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কিন্তু তারাই আজ একটি সুশৃঙ্খল অ্যাকাডেমিক পরিবেশ নষ্ট করার উদ্দেশ্যে বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলছে। এদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে।’
শাহ মখদুম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আরিফুর রহমান বলেন, ‘বরাবরই বাহুশক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে দুর্নীতিপরায়ণ কিছু শিক্ষক নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে এই প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে। তারা গ্রামের হাটবারের মতো সপ্তাহে দুদিন ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা করছে।’
মানববন্ধনে শিক্ষকরা বলেন, গত প্রশাসনের আমলে স্মার্টকার্ড দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। আজ পর্যন্ত স্মার্টকার্ডের কোনোরকম ব্যবহার ও উপকারিতা পাইনি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আর আজ যিনি দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষকদের ব্যানারে প্রধান তার নামেও ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপে প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগ আছে। সেটিও তদন্তাধীন।
মানববন্ধনে সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক রবিউল ইসলাম, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সুজিত সরকার, সুমাইয়া খানম, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন মিশ্র, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক তারেক নূর প্রমুখ বক্তব্য দেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাবুল ইসলাম, জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রভাষ কুমার কর্মকার, প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সদস্য সচিব অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদসহ প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে ক্রপ সায়েন্স বিভাগের নিয়োগ বোর্ড অবৈধ দাবি করে উপাচার্য বাসভবনের সামনে প্লাকার্ড হাতে অবস্থান নেন দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষক সমাজের কয়েকজন শিক্ষক। এ সময় তারা অবৈধ নিয়োগ বন্ধের দাবি জানান।